Iran vs Israel: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের পর বদলে যাবে বিশ্বের সমীকরণ! জেনে নিন কোন দেশের অবস্থান কী?
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইরানের ইজরায়েলের উপর ড্রোন হামলা উস্কে দিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট খুলেছে ইরান। শনিবার মাঝরাতে সরা বিশ্ব যখন ঘুমের দেশে ছিল সেই সময় ইরান ইজরায়েলের উপর একের পর এক হামলা চালায়। ইরান ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ২০০ টিরও বেসি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর পাশাপাশি দেড় শতাধিক ড্রোন হামলাও চালানো হয়। মধ্যরাতর এই হামলা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মানুষ প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটছে।ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ইজরায়েলের উপর ইরানের হামলার ভিডিয়ো। যেখানে হামলার ভয়াবহ দৃশ্য স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের প্রতিটা দেশের চোখ একন নতুন এই যুদ্ধের দিকে আছে। বিশ্বের অনেক দেশই এই হামলার বিষয়ে তাদের অবস্থান করেছে। ইজরায়েলকে সাহায্য করতে অনেক দেশ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আবার অনেক দেশ ইরানকে সমর্থন করেছে। ইরানের হামলাই স্পষ্ট করে দিয়েছে কোন দেশ কার পাসে দাঁড়াবে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কোন দেশ ককে সমর্থন করছে।
ইজরায়েলকে সমর্থনকারী দেশ-এই যুদ্ধে ইরানের হামলার পর ইজরায়েলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। যেন
জর্ডন, আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। জর্ডনের বিমান বাহিনীর ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ভূপাতিত করেছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশের প্রশংসা করেছেন।
ইরানকে সমর্থনকারী দেশ-এই যুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরাকের মতো দেশ। এই দেশগুলো ইরানকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এই সব দেশের ইরানি ঘাঁটি থেকে ইজরায়েলে আক্রমণ করেছে। ইরানকে সাহায্য করার জন্য এই দেশগুলো একসঙ্গে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যেখানে সৌদি আরব, তুরস্ক এবং মিশর আমেরিকাকে তাদের বিমান ঘাঁটি ব্যবার করতে দেয়নি।
এখন ইরান ও ইজরায়েলের মদ্যে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বের সব বড় দেশের মতামতো প্রকাশ পাবে জাতিসংঘে। রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশগুলো প্রকাশ্যে ইজরায়েলকে সমর্থন করবে এবং সাহায্য করবে। একইসঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যে কোনও প্রস্তাবও নিষিদ্ধ করা যাবে।
অন্যদিকে, ইজরায়েল-ইরানের যুদ্ধের ফলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যই এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে মনে করা হচ্ছে। দেখা দিতে পারে জ্বালানির সংকট, খারাপ হতে পারে অর্থনৈতিক অবস্থাও।