Iran Israel War : ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ আসলে গেম প্ল্যান! কেন এই হামলা? তোলপাড় বিশ্ব
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
শুরু হয়েছে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। ৩০০-র বেশি মিসাই এবং ২০০ ড্রোন নিয়ে ইহুদি দেশে হামলায় চালায় ইরান। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি, আমেরিকার সাহায্যে সমস্ত ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে তারা। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি এই যুদ্ধ আসলে আই ওয়াশ। বড়সড় কোনও গেম প্ল্যান আছে এর নেপথ্যে?ইজরায়েল এবং আমেরিকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ইরানের এই হামলার ইঙ্গিত পেয়েছিল। আর সে কারণেই ইরানের ড্রোন অ্যাটাকের পর সঙ্গে সঙ্গে অ্যাক্টিভ হয়ে যায় ইজরায়েলের আয়রন ডোম সিস্টেম। সেদিকে আসতে থাকা সমস্ত মিসাইল প্রতিরোধ করে ফেলে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করছেন ইচ্ছাকৃতভাবেই ইরানকে ফাঁসিয়েছেন নেতানিয়াহু। ইজরায়েল চাইছিল ইরান তাদের দেশে হামলা চালাক। কিন্তু কেন? এতে কী ফায়দা?
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস আক্রমণ চালিয়েছিল। এরপর লেবাননের হেজবোল্লাও ইজরায়েলে রকেট হামলা করে। লোহিত সাগরে ইজরায়েলি জাহাজে হাউতিরা আক্রমণ চালাচ্ছিল। এদের প্রত্যেকেই ইরান থেকে সমর্থন পেয়েছে। মধ্য প্রাচ্যে ইরানের আরও অনেক সমর্থনকারী রয়েছে যারা আমেরিকা এবং ইজরায়েলকে নিশানা করতে চাইছে। ইরান তাদের হাতিয়ার দিয়ে সাহায্য করছে। এতদিন তারা দূরে বসে তামাশা দেখছিল। এবার সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে। এক্সপার্টরা বলছেন, ইজরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে যুদ্ধের ময়দানে টেনে আনা।
ইজরায়েলের সমর্থনে রয়েছে আমেরিকা এবং পশ্চিম ভারতের একাধিক দেশ। তাদের রয়েছে মসবুত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। তবে ইরানের কাছে ইজরায়েলি হামলা সামলানোর মতো ক্ষমতা নেই। ফলে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের হুংকার দিয়ে নিজের জালে নিজেই ফেঁসে যেতে পারে খোমেইনির দেশ।
ইরান ও ইজরায়েলের অশান্তির সূত্রপাত ৭ অক্টোবরের হামলা থেকে। সেই দিন হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে গণহত্যা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের দাবিতে বরাবর হামাসকে সমর্থন করলেও ৭ অক্টোবরের হামলার পিছনে তাদের হাত নেই বলে দাবি করেছিল ইরান। কিন্তু, ইজরায়েল বরাবরই হামাসের বন্ধুরাষ্ট্র ইরানকে শত্রুদেশ হিসেবেই দেখেছে। এই পরিস্থিতিতে ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে চলে হামলা। প্রাণ হারান দু'জন জেনারেল সহ ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের সাত সদস্য। ইরান অভিযোগ তোলে, ইজরায়েলই হামলা চালিয়েছে তাদের দূতাবাসে। তারপর থেকে ইজরায়েলে প্রাণঘাতী হামলার হুমকি দিয়েছিল খোমেইনির দেশ। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায়, অধিকাংশ দেশ ইরান এবং ইজরায়েলের আকাশপথ এড়িয়ে চলছে। ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, জার্মানির মতো একাধিক দেশ তাদের নাগরিকদের ইরান এবং ইজরায়েল সফর আপাতত বাতিলের পরামর্শও দিয়েছে।
সূত্রের খবর, মিসাইল এবং ড্রোনের সম্মিলিত হামলায় ইজরায়েলকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে ইরান। সীমান্ত থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরের টার্গেটে আঘাত করতে সক্ষম ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ় মিসাইলও রয়েছে তাদের ভাঁড়ারে। তৈরি ইজরায়েলও। ইউএসের সাহায্য ছাড়াও নিজেদের বাহিনী তৈরি রেখেছে তারা। বাতিল করা হয়েছে কমব্যাট ফোর্সের সকলের ছুটি। আনা হয়েছে রিজার্ভ ফোর্সও। জিপিএস-নেভিগেটেড ড্রোন বা মিসাইলকে ধ্বংস করার প্রযুক্তিও তৈরি রেখেছে ইজরায়েল।