মন্দির চত্বরে ধূমপান করা যাবে না। পান-গুটকা সেবনেও কড়া নিষেধাজ্ঞা। পুন্যার্থী এবং সেবায়েতদের জন্য নতুন নিয়ম জারি করা হল ওডিশার সম্বলেশ্বরী মন্দিরে।মন্দিরে পান-বিড়ি-গুটখা নিষিদ্ধসম্বলেশ্বরী টেম্পল ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে শনিবার ঘোষণা করা হয়েছে, পান-গুটকা কিংবা বিড়ি-সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে মন্দির চত্বরে। রবিবার থেকে এই নিয়ম লঙ্ঘিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তামাক জাতীয় সমস্ত দ্রব্যই নিষিদ্ধ করা হয়েছে সম্বলেশ্বরী মন্দিরে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও এই নির্দেশিকা জারি করা রয়েছে। শক্তিপীঠে পুজো দিতে আসা সকল পুণ্যার্থীদের মধ্যে তামাক বিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলার জন্যও একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার একই পথে হাঁটল সম্বলেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষও।
সম্বলেশ্বরী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি সঞ্জয় বাবু বলেন, 'আমরা আগেও দর্শনার্থীদের কাছে তামাক জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার না করার আর্জি রেখেছিলাম। কিন্তু, এবার তা কড়াভাবে নির্দেশ দিয়ে জানানো হচ্ছে। কোনও পুণ্যার্থীতে যদি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মন্দির চত্বরে পান-গুটখা, বিড়ি কিংবা সিগারেট সেবন করতে দেখা যায় তবে মোট টাকা জরিমানা করা হবে। মন্দির পবিত্র উপাসনালয়। এখানে এসে মন পবিত্র করা উচিত। আমাদের সকলের উচিত ঈশ্বরের উপাসনালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। ফলে মোটা টাকা খসাতে না চাইলে দয়া করে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলুন।'
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে রিলস বন্ধঅন্যদিকে, মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে রিলস তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গোমতি ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন। মন্দির চত্বরে এক মহিলা নাচগানের ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপরই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তিব্বত, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কায় ছড়িয়ে থাকা ৫১ সতীপীঠের একটি হল মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। গোমতি ত্রিপুরা জেলাশাসক তরিৎকান্তি চকমা বলেন, 'সাধারণ মানুষের উদ্দেশে আমরা এই নির্দেশিকা জারি করেছি। শ্রী শ্রী মা ত্রিপুরেশ্বরীর ছবি এবং ভিডিয়ো তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে ক্যামেরা, মোবাইল হাতে কোনও পুণ্যার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মন্দির চত্বরে কোনও ভিডিয়ো রিলস করা যাবে না। কোনওরকম গানের সঙ্গে ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া যাবে না যাতে মা ত্রিপুরেশ্বরর অসম্মান করা হয়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে, এমন কোনও কাজ বরদাস্ত করবে না কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'