• Payal Dhare: গেম খেলেই লাখ লাখ আয়! চিনুন মোদীর প্রশংসা পাওয়া ২৪-এর তরুণী পায়েল ধারেকে
    এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
  • প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভোলবদলে গিয়েছে গেমিং দুনিয়ার। গোটা দুনিয়ায় গেমাররা রাজ করছেন। ভারতেও অনেক গেমার উঠে আসছেন যাঁরা গেমিং দুনিয়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন, নাম তৈরি করেছেন। শুধু ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বের কাছে গেমিং দুনিয়ায় পরিচিতি পাচ্ছেন তাঁরা। দেশের প্রতিভাবান গেমারদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই ছিলেন এক তরুণী, তাঁর নাম পায়েল ধারে।গেমিং দুনিয়ার পরিচিত নাম পায়েল ধারে। মধ্য় প্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার উমরানালা গ্রামের মেয়ে পায়েল। মার্চ মিস ধারে গেমিং ক্রিয়েটর অব দ্য ইয়ার গেমিং ক্রিয়েটার অব দ্য় ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। একই ভাবে পায়েল মহিলা স্ট্রিমারের খ্যাতিও পেয়েছেন। পায়েলের বাবা শিবশংকর ধারে জানান, তিনি অত্যন্ত গর্ব অনুভব করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর মেয়ের সাক্ষাতের জন্য। পায়েল পেশায় একজন প্রকৌশলী, ছত্তিশগড়ের ভিলাই থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। ২০১৯ সালে গেমিংয়ের দুনিয়ার পা রাখা, তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এই বছরের মার্চে 'গেমিং ক্রিয়েটর অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড' পান। গত বছর 'ডায়ানামিক ক্রিয়েটর অফ দ্য অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছিলেন। পাশাপাশি 'ফিমেল স্ট্রিমার অফ দ্য ইয়ার' খেতাবও জিতেছেন। সোশ্যাল ব্লেডের রিপোর্ট অনুযায়ী, পায়েল ধারের বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ থেকে পাঁচ কোটি টাকার মধ্য়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় পায়েল। ইনস্টাগ্রামে পায়েলের ফলোয়ার ৩.১ মিলিয়ন। ইউটিউবে ৩.৭ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার।

    প্রধানমন্ত্রীকে পায়েল জানান, গেমিংয়ের প্রতি বরাবরই টান ছিল। তবে বাড়িতে নিয়মের কড়াকড়িতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তাঁর কাছে কোনও মোবাইল ছিল না। বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনি গেমিংয়ের জন্য তথ্য় সংগ্রহ করতে থাকেন। তাঁর বন্ধুদের ভাইরা ক্যাফেতে গিয়ে গেম খেলত। তখন থেকে গেমিংয়ের বিষয়ে জানতে পারেন।' পায়েল জানান, 'অভিভাবকরা যদি সমর্থন করেন সন্তান স্বপ্ন পূরণে তবে খুব সাহায্য হয়।'

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গেমিং শিল্পের প্রভাবশালী ও ই-স্পোর্টস অ্যাথলেটদের সঙ্গে শিল্প নিয়ে আলোচনা করছেন। নমন মাথুর, অনিমেষ আগরওয়াল, মিথিলেশ পাটাঙ্কর, পায়েল ধারে, আংশু বিস্ত, তীর্থ মেহতা এবং গণেশ গঙ্গাধরের সঙ্গে গেমিং শিল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ' গেমিং শিল্পকে রেগুলেট করার দরকার নেই। এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।' গেমারদের অনুভূতি কেমন, তাদের কী সুবিধা-অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, তা নিয়ে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু আলোচনাই নয়, নিজেও গেম খেলে দেখলেন তাদের কী অনুভূতি হয় গেম খেলার সময়, তাও বোঝার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। গেমররা বলেন, 'আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়ায় আমরা নিশ্চিত ভাবে ফ্রন্টফুটে এসে গেলাম। আমাদের লক্ষ্য আজ ভ্যালিডিটি পেল। আপনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, এটাই গেমিংয়ের জয়। আমাদের গেমিং ইন্ডাস্ট্রি জিতে গেল।' গেমারদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী জানতে চান, তাঁরা ন্যাশনাল ক্রিয়েটরস অ্য়াওয়ার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন কি না। প্রত্যেক গেমারের কথা খুব মন দিয়ে শোনেন প্রধানমন্ত্রী।
  • Link to this news (এই সময়)