• রুই-কাতলা ছেড়ে ইলিশ-পাবদা চুরি! পেশাদার চোর না ভোজনরসিকের কাণ্ড, হইচই রানাঘাটে
    এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
  • পয়লা বৈশাখের সকালে বিক্রির জন্য ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা ইত্যাদি বাড়তি মজুত করেছিলেন রানাঘাট কোর্ট মোড় সংলগ্ন আনুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা। শনিবার এবং রবিবার দেদার বিকোবে এই আশায় প্লাস্টিকের ক্যারেটে বরফ দিয়ে মাছগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শনিবার সাত সকালে বাজারে এসে তাঁরা দেখেন, দামি মাছগুলো বেশির ভাগই চুরি হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু মাছ ছড়ানো ছিটানো।একটি ক্লাবের আঙিনায় মাছ বাজারটি চলে। পাশে অন্য জমিতে সব্জি বাজার। স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন দোকান-সহ দু’টি বাজারের জন্য দু’জন বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী শুক্রবারও পাহারায় ছিলেন। কিন্তু তাঁদের নজর এড়িয়ে কী করে মাছ বাজারে এত বড় চুরি হল সে প্রশ্ন উঠেছে। মাছ ব্যবসায়ী কাশেম আলি দফাদার বলেন, ‘অনেক বেশি দাম দিয়ে হাওড়া থেকে ইলিশ ও পাবদা কিনে এনেছিলাম নববর্ষের দিন দুটো বেশি টাকা আয় হবে ভেবে। আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। বাজারে রাতে এভাবে আগেও মাছ রাখা হয়েছে কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেনি।’

    প্রায় চল্লিশ জন ব্যবসায়ী এখানে মাছ বিক্রি করেন। কত টাকার মাছ চুরি গিয়েছে তা অবশ্য জানাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। রানাঘাটের পুরপ্রধান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় এই বাজারটি অবস্থিত হলেও আমার নিজের ওয়ার্ড লাগোয়া। চুরির ঘটনা শুনে ছুটে গিয়েছিলাম। বাজারের মধ্যেও সিসি ক্যামেরা বসানোর পরামর্শ দিয়েছি।’

    তবে এই মাছ কে বা কারা চুরি করল, সেই নিয়ে ধন্দে সকলেই। এটা কি কোনও পেশাদার চোরের কাজ? নাকি, নেহাত কোনও খাদ্যরসিক বা মৎস্যপ্রেমী ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন? নিশ্চিত হতে পারছেন না কেউই। বেছে বেছে রুই-কাতলা মাছ রেখে দেওয়া হল, তার জায়গায় ইলিশ, পাবদা মাছ কেন চুরি করে নেওয়া হল, সেই নিয়ে বিড়ম্বনায় সকলেই।

    আবার অনেকেই বলছেন, এটা পেশাগত শত্রুতার কারণেও হতে পারে। ওই বাজারে একাধিক মাছ ব্যবসায়ী রয়েছে। ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে কেউ এটা করতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। উল্লেখ্য, রানাঘাটের পুরপ্রধান ও স্থানীয় আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও বাজারে যান। তাঁরাও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরবর্তীকালে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে মৎস্য ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)