CPIM West Bengal : সাংসদ তহবিলের এক-তৃতীয়াংশ খরচ, নারী সুরক্ষায় বিরাট প্রতিশ্রুতি মীনাক্ষী-দীপ্সিতাদের
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ – গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাকেই প্রচারবাণী করেছিল। লোকসভাতেও তৃণমূল নেতৃত্বের মুখেও শুরু থেকে শেষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর কথা। মহিলা ভোট টানতে উদগ্রীব সব পক্ষই। প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে নারীদের ‘সুরক্ষা’, ‘আত্মরক্ষার’ স্বার্থে এবার নতুন ঘোষণা করলেন সিপিএমের মীনাক্ষী, দীপ্সিতারা।বাংলা থেকে মহিলা ভোট যে নির্বাচনী রিপোর্ট কার্ড নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে, সে কথা শিরোধার্য করেছে বাম শিবির। ছকভাঙা রাজনীতির রাস্তায় হেঁটে প্রথম সিপিএমের মহিলা প্রার্থীদের (মীনাক্ষীকে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি) সামনে এনে নির্বাচনে বিশেষ ইস্তেহার প্রকাশ সিপিএমের। সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে হাথরাস, উন্নাও-এর অভিযোগ, রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাটকা সন্দেশখালি, দুই অপরাধের বৃত্তকে এক জায়গায় এনে নতুন সংকল্পের কথা জানালেন মীনাক্ষীররা।
বোলপুরের সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান, শ্রীরামপুরের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর, দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, আসানসোলের প্রার্থী জাহানারা খান এবং ঝাড়গ্রামের প্রার্থী সোনামণি টুডুকে সঙ্গে নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেখানেই, মীনাক্ষীরা জানান, দলের মহিলা প্রার্থীরা সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত সেই কেন্দ্রে সাংসদ তহবিলের এক তৃতীয়াংশ টাকা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই খরচ করা হবে।
কিন্তু কী ভাবে এটা খরচ হবে? জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ‘মহিলা আত্মমর্যাদা কেন্দ্র’ গড়ে তোলা হবে। মীনাক্ষী বলেন, ‘মহিলাদের আত্মসুরক্ষা, আত্মমর্যাদার ক্ষেত্রে কাজেও লাগাব, সেখানে যত বাধা বিপত্তি আসবে, সেখানে যদি কেউ ঢাল এবং তলোয়ার হয়ে থাকে, সেটা হবে কমিউনিস্ট পার্টি।’ আত্মমর্যাদা কেন্দ্রের পাশাপাশি ঋতুকালীন মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ, স্বনির্ভর করে তোলার জন্য সমবায় গড়ে তোলার কথাও ঘোষণা করা হয়। এমনকি, নির্যাতিতাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি আলাদা ভাবে তুলে ধরা হয়েছে সিপিএমের ঘোষণাপত্রে।
লোকসভা এলাকায় মহিলা আত্মমর্যাদা কেন্দ্রের অধীনে থাকবে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি। এই সমিতি থেকে মহিলারা আইনি সহায়তা পাবেন, গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে সাহায্য চাইতে থাকবে হেল্পলাইন নম্বর, এর বিরুদ্ধে গণউদ্যোগ তৈরি, নির্যাতিতার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ট্রমা কেয়ার ইউনিট তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি, মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান, গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়ার দাবি জানালেন তাঁরা।
মহিলাদের অগ্রাধিকার দিয়ে রাজ্যের শাসক দল একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গড়ে তুলেছে। সাযুজ্য বজায় রাখতে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য ওয়ান স্টপ সলিউশনের সুযোগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বামেদের প্রমীলা বাহিনীর। এই আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি কি বামেদের ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হবে, সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।