• NIA Investigation : আত্মগোপন করতে গিয়ে পকেটে টান, অর্থ সাহায্যে কলকাতায় আসে আরও এক জঙ্গি
    এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
  • বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই জঙ্গি নয়, কলকাতায় পা রেখেছিল আরও এক জঙ্গি। উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে এমনটাই। ত্বহা এবং শাজিবের সঙ্গে সঙ্গী ছিল আরও একজন। তবে, সে কলকাতায় ছিল না, নির্দিষ্ট কাজ করেই বেরিয়ে যায় বলে খবর।NIA সূত্রে জানা গিয়েছে, আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন শাজিবকে দুদিন আগেই গ্রেফতার করেছে NIA। কলকাতায় বিভিন্ন হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে দিঘায় গিয়ে উঠেছিল দু’জনে। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করে NIA এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী। তবে সাহায্য করার জন্য তৃতীয় একজন এসেছিল কলকাতায়।

    মুজাম্মিল শরিফ নামে আরও এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কলকাতায় আসে। দু’জনকে আত্মগোপনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার জোগান দিতে এসেছিল সে। এরপরেই সে কলকাতা থেকে প্রস্থান করে। দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে।

    গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত ১০ মার্চ রাজ্যে এসেছিল ত্বহা এবং শাজিব। এরপর ১২ তারিখ ধর্মতলার দু’টি হোটেলে পরপর দু’দিন আশ্রয় নেয় তারা। তবে এর মাঝে তারা কোথায় ছিল সেটা এখনও জানা যায়নি। কলকাতা থেকে পুরুলিয়া এবং দার্জিলিং গিয়েছিল। এরপর ২১ মার্চ ফের কলকাতায় ফিরে এসে খিদিরপুর এবং একবালপুরের হোটেলে উঠেছিল। ২৪ মার্চ, এক দিনের জন্য তারা বেপাত্তা ছিল। এরপর ২৮ মার্চ হাওড়া থেকে বাস ধরে দিঘায় গিয়েছিল বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা।

    তবে, ২৮ মার্চ দিঘায় রওনা দিলে সেদিনই সেখানে পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু, দিঘায় হোটেলে তারা দুজনে উঠেছিল ১০ এপ্রিল। এরপরেই তারা সেখান থেকে ধরা পড়ে। কিন্তু, মাঝের এই কয়টা দিন তারা কোথায় ছিল সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও তথ্য পাননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তবে বাংলায় নানা জায়গায় গা ঢাকা দেওয়ার জন্য তাদের অর্থের প্রয়োজন ছিল। সেই অর্থের যোগান দিতে তৃতীয় ব্যক্তি কলকাতায় এসেছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

    গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দিঘায় একটি হোটেলে হানা দেয় NIA আধিকারিকরা। সেখানেই ধরা পড়ে ওই দু’জন। এরপর তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তারা NIA হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের সব তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
  • Link to this news (এই সময়)