Devyani Khobragade: বিতর্কিত পোস্ট করে শিরোনামে, সেই দেবযানী খোবরাগড়ে অবতীর্ণ অপ্সরা অবতারে
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
এক্স হ্যান্ডেলের বিশেষ অনুষ্ঠানের পোস্ট আপাতত আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে গোট নেট দুনিয়ার। কম্বোডয়ার ভারতীয় নম পেন দূতাবাসের শেয়ার করা একটি পোস্টে দেখা গেছে ভারতীয় কূটনীতিবিদ দেবযানী কোবরাগড়েকে খেমার অপ্সরার বেশে ফটোশ্যুট করতে। পোস্টটিতে বলা হয়েছে, ’রাষ্ট্রদূত দেবযানী খোবরাগড়ে খেমার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের জন্য গভীর প্রশংসা করেছেন। খেমার নববর্ষের চেতনাকে আলিঙ্গন করেছেন, তিনি মার্জিতভাবে খেমার অপ্সরার পোশাক পরেছিলেন, আমাদের সভ্যতার সমৃদ্ধ বন্ধনকে মূর্ত করে আমাদের সকল বন্ধুদেরকে একটি আনন্দদায়ক খেমার নববর্ষ উদযাপনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’
দেবযানী খোবরাগড়ে কে?দেবযানী খোবরাগড়ে এর আগে নিউইয়র্কের ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলে ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালে কম্বোডিয়ায় বারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার উত্তম খোবরাগড়ের মেয়ে দেবযানী। তিনি মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুম্বই থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি পান। ১৯৯৯ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিদেশী পরিষেবাগুলি বেছে নেন তিনি। তাঁর কূটনৈতিক কর্মজীবনে তিনি বর্লিন, ইসলামাবাদ, রোম এবং নিউইয়র্কে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি ২০১৯ সাল থেকে যুগ্ম সচিব হিসেবে বিদেশ মন্ত্রকের সক্ষমতা বৃদ্দি এবং সাংস্কৃতিক বা ঐতিহ্য প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে তার মেয়াদের সময় তিনি একটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভিসা জালিয়াতি করার জন্য অভিযুক্ত করে। নিজের মেয়েদের দেখাশোনার জন্য রাখা আয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারিত টাকার থেকে অনেক কম টাকা দেোয়ার অভিযোগ ওঠে দেবযানীর বিরুদ্ধে। এরপরই ২০১৩ সালে ভারতীয় কূটনীতিকের বাড়ি ছাড়ে আয়া। যদিও আয়ার বিরুদ্ধে আগে থেকে না বলেই পালিয়ে যাওয়ার পাল্টা অভিযোগ আনে দেবযানীর আইনজীবী। ভিসা জালিয়াতির জন্য ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর দেবযানীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, অল্প সময়ের জন্য তাঁর জেলও হয়। জেলে ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে মানুষ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওবামার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। একইসঙ্গে পাল্টা জবাবে ভারত সরকার মার্কিন খূটনীতিকদের সযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করে এবং ভারতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে নিরাপত্তা বাধা অপসারণ করে। এর পাশাপাশি ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানানো হয়। ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ ঘোষণা করেন যে যতক্ষন না তিনি দেবযানীকে গণ্ডগোল থেকে বের করতে পারবেন ততক্ষণ তিনি সংসদে ফিরবেন না।