উত্তরবঙ্গে বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে প্রচারের জন্য গিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর সেখানে গিয়েই মহাগুরু প্রকারান্তে নিশানা করলেন তৃণমূলকে। তিনি বলেন, 'বাংলায় পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে'।১৯ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে প্রচারের ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার মিঠুনের হাতে প্রচারের রাশ! রবিবার পয়লা বৈশাখের দিন তিনি হাজির হন বাগডোগরা বিমানবন্দরে।
তাঁর স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন একাধিক দলীয় নেতা কর্মীরা। তাঁকে বরণ করে নেন তাঁরা। একুশের নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারে একাধিকবার মিঠুন চক্রবর্তীকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি জাত গোখরো। এই মন্তব্য করে তিনি বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন। বিষয়টি গড়ায় থানা পর্যন্ত। মিঠুন চক্রবর্তীকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। প্রচারে কি সেই একই সংলাপ শোনা যাবে মিঠুনের কণ্ঠে? এই প্রসঙ্গে রাজনীতিক বলেন, 'এবার কাবুলিওয়ালা দিয়ে শুরু করব।'
উল্লেখ্য,জলপাইগুড়ির BJP প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে প্রচার করবেন মিঠুন। এরপর তিনি ময়নাগুড়িতে রোড শো করবেন। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও BJP-র তারকা চমক ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই সুপারস্টারকে সামনে রেখে বাঙালি ভাবাবেগকে নাড়া দিতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির।
একাধিক প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দেখা যায় মিঠুনকে। অনেকেই মনে করছিলেন হয়তো বিধানসভা নির্বাচনে মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, শেষমেশ ভোটে লড়েননি তিনি। এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি লোকসভা নির্বাচনে মিঠুন চক্রবর্তী প্রার্থী হবেন? এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ৪১টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপি। বাকি কেবলমাত্র ডায়মন্ড হারবার। এই কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করবে BJP, সেই দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য রাজনৈতিক মহল।
এখনও পর্যন্ত BJP-র প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় কোথাও নাম নেই মিঠুন চক্রবর্তীর। কিন্তু, উত্তরবঙ্গের প্রচারে তাঁকে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যাবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, হয়তো একুশের নির্বাচনের মতো লোকসভা নির্বাচনেও মহাগুরুকে শুধুমাত্র দলীয় প্রচারের জন্যই দেখা যাবে।
পাশাপাশি অপর এক মহলের মতামত অনুসারে, উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সমতলেও হয়তো মিঠুন চক্রবর্তীকে সামনে রেখে প্রচার করবে BJP। বাঙালিদের কাঠে তিনি আবেগ। আর সেই বঙ্গ আবেগকে কাজে লাগিয়েই ভোট বাক্সে সুফল পেতে চাইছে গেরুয়া শিবির। যদিও এই বিষয়টিকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ তৃণমূল।