পয়লা বৈশাখের দিন ভয়াবহ ঘটনা, বরানগরে এক পরিবারের ৩ সদস্যের পচা-গলা দেহ উদ্ধার
এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৪
বরানগরে একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। মৃতরা শংকর হালদার, অভিজিৎ হালদার এবং বর্ণ হালদার। সম্পর্কে তারা দাদু, বাবা, ছেলে।
জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন সেন নগরে বাসিন্দা শংকর হালদারের বাড়ির সামনে রবিবার দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। এরপরই বিষয়টি স্থানীয় এলাকার মানুষজন অবগত করেন এলাকার কাউন্সিলর ঊষা বেরাকে।এরপর ঘটনাস্থলে এসে তিনি অন্যান্য প্রতিবেশীদের নিয়ে ঘরের ভেতরে উঁকি দিতেই দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে একটি দেহ। পাশে মাটিতেও একটি দেহ পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান জনপ্রতিনিধি। তৎক্ষনাৎ খবর দেওয়া হয় বরানগর থানায়। পুলিশ এসে অবশেষে তালা ভেঙে বাড়ির ভেতর থেকে দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ৭০ বছর বয়সের প্রবীণ এবং বাড়ির কর্তা শংকর হালদারের মাথায় ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করে প্রথমে খুন করে ছেলে বাপ্পা হালদার। তারপর বাপ্পাই ১৬ বছরের ছেলে বর্ণ হালদারকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বরানগর এলাকায়। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা। ঠিক কী ঘটেছে? তা খোঁজ করার জন্য তদন্তে নেমেছে বরানগর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রতিবেশীদেরও।
ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পরিবার কোনও আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের কোনও শত্রুতা কারও সঙ্গে ছিল কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সবমিলিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এই পরিবারের বিষয়ে খুব একটা কিছুু তাঁরা জানতেন না। তবে তাঁদের কারও সঙ্গে প্রকাশ্যে ঝগড়া করতে দেখা যায়নি বলেই দাবি এলাকাবাসীর একাংশের।
এই প্রসঙ্গে এলাকার কাউন্সিলর বলেন, 'আজ পয়লা বৈশাখের দিন আমরা প্রভাতফেরির আয়োজন করেছিলাম। তা শেষ করতে না করতেই এখান থেকে একজন আমাকে ফোন করে। আমি এসে দেখি দুর্গন্ধ বার হচ্ছে। বাড়িটিতে তালা দেওয়া। আমি পিছন দিকে গিয়ে দেখি বিছানা রক্তাক্ত হয়ে রয়েছে। আর সম্ভবত কোনও দেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশে খবর দিয়েছিলাম। ওরা এখন এসে তদন্ত করছে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষজন ভয় পেয়েছে এই ধরনের ঘটনায়।’