বিশ্বের ২৫ টি রাজনৈতিক দলকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযান দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি। ভারতে আগামী ১৯ এপ্রিল সাত ধাপের সাধারণ নির্বাচন শুরু হবে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।নেপাল, বাংলাদেশ, মরিসাস, শ্রীলঙ্কা এবং কিছু আফ্রিকান দেশ সহ ১৫ টি দেশ থেকে বিজেপির প্রচারের সাক্ষী হওয়ার জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিজেপি সারা বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে।
সিএসডিসি লোকনীতি প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা গেছে বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি ভারতীয় ভোটারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে ধরা পড়েছে। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং ভারতের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী প্রাধান্য বিজেপির পুনঃনির্বাচনের সম্ভাবনক আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছে বিজেপি।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ‘বিজেপির প্রচারের ব্যাপকতা এবং গভীরতা দেখানো যা পরপর নির্বাচনে দলের সাফল্য এনেছে, তা লোকসভাই হোক কিংবা বিধানসভাই হোক। আমরা এই দেশগুলিকে ভারতে স্বাগত জানাতে উন্মুখ। তারা বিভিন্ন জায়গায় যাবে। আমরা তাদের বিজেপির প্রচারের বিভিন্ন দিক দেখাবো।’
বিজেপির তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, বিভিন্ন দেশ থেকে কূটনীতিকদের ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। তাদের দেখানো হবে বিজেপির প্রচার। অতীতে বিানসবা নির্বাচনের সময় এই পদ্ধতি বিজেপি অবলম্বন করেছিল বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের জন্য এটাই প্রথমবার হবে বলে জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।
২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ৩০৩ টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এবারও জয়ের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ আশাবাদী মোদী সরকার।
তবে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি। নতুন ভোটারদের মন জয় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তামিল সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে দক্ষিণজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করেছেন। গত বছর G20-তে ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর খ্যাতি মূলত বিস্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে একটি হয়ে ওঠার দিকে জাতিকে পথ দেখানোর দাবির উপর নির্ভরশীল।
দক্ষিণকে আকৃষ্ট করার জন্য বিজেপি ইতিমধ্যেই তার নম্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী কংগ্রেস পার্টি থেকে সত্যিকারের প্যান ভারতীয় দল হওয়ার প্রমাণ ছিনিয়ে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।