বহরমপুর পুর এলাকার গান্ধী কলোনি থেকে বিটি কলেজ মোড় পর্যন্ত জনসংযোগ করার সময় লাগামছাড়া মেজাজ দেখা যায় কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। এমনকি, স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই ভিডিয়ো উঠে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজে। পুরো ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন এবার বহরমপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান।ইউসুফ পাঠানের কথায়, যা হয়েছে অন্যায় হয়েছে। এমনটা হওয়া উচিত ছিল না। রবিবার ওই আক্রান্ত যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যান ইউসুফ পাঠান। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি বলেন, ‘সাংসদের কাছে যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন। এটা তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। বড় মাপের সাংসদেরও উচিত সেই প্রশ্নের জবান দেওয়া। কিন্তু যা হয়েছে তা হওয়া উচিত ছিল না। এটা অন্যায় হয়েছে।’
বহরমপুরে অধীর পিচে ব্যাট করতে নেমে এই প্রথম অধীরের বিরুদ্ধে সোজা ব্যাটে ছক্কা হাঁকালেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা। এর আগে অধীরের কোন প্রশ্নেই তাঁকে সরাসরি আক্রমণে যেতে দেখা যায়নি। গুজরাট থেকে ইদের অনুষ্ঠান করে আজই বহরমপুরে পা রাখেন ইউসুফ পাঠান। আর এসেই অধীরের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ইউসুফ।
Lok Sabha Election : অধীরের সিক্সার রুখতে ইউসুফের সুইং
শনিবার বহরমপুরের গান্ধী কলোনিতে প্রচারে যান অধীর চৌধুরী। গান্ধী কলোনি থেকে পদযাত্রা করে বিটি কলেজ পর্যন্ত আসেন। সেখান থেকে ফেরার পথে গান্ধী কলোনির মন্দির থেকে অধীর চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গো-ব্যক স্লোগান তোলেন কয়েকজন। আর তাতেই মেজাজ হারান বহরমপুরের দাপুটে নেতা। গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যান এক যুবককে লক্ষ্য করে।
জানা গিয়েছে, বিভান দে নামে এক তৃণমূল সমর্থক সেখানে ছিলেন। ওই যুবককে সপাটে থাপ্পড় মারার অভিযোগ ওঠে অধীরের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় নেতৃত্বে প্রতিবাদে নামে তৃণমূল। অধীরের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়। যদিও, গোটা ঘটনাটি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান অধীর। জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানোর পর ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে, আজ বহরমপুরে ফিরে আক্রান্ত যুবকের পাশে দাঁড়ালেন ইউসুফ। ঘটনার নিন্দা করলেন তিনি। প্রসঙ্গত, বছত দশেক আগে আক্রান্ত যুবকের বাবা বাদল দে অধীর চৌধুরীর কোপে পড়েছিলেন। অধীর চৌধুরী তখন মধ্য গগনে। মুর্শিদাবাদ শাসন করছিলেন। বহরমপুরের মানুষ সেদিনের ঘটনার সাক্ষী। শনিবার কার্যত তারই রিপিট টেলিকাস্ট হয়েছে। এবার অধীরের রোষের সামনে ছিল বাদলবাবুর ছেলে।