• কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে নববর্ষের জমকালো উদযাপন ...
    আজকাল | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • আজকাল ওয়েববেস্ক: বাংলাদেশে আজ চিরাচরিত উৎসাহ, উদ্দীপনার সঙ্গে চলছে বাংলা নববর্ষ উদযাপন। ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা পার্কের বটমূলে সাংস্কৃতিক দল ছায়ানটের জমকালো পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনটি শুরু হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র। শোভাযাত্রায় শিশু, প্যাঙ্গোলিন, আলংকারিক হাতি, চাকা, এবং পাখির ছবি আঁকা পাঁচটি কাঠামো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরে। ‘পয়লা বৈশাখ’ উদযাপনে ধর্ম সম্প্রদায়, শ্রেণী, অঞ্চল, লিঙ্গ ও বয়স নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহণ করে। এ উপলক্ষে ঢাকায় আরও বেশ কিছু কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ উপলক্ষে জনগণকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়।এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো রয়েছে পুরো এলাকা। রমনার অনুষ্ঠান শেষ করে সবাই যাতে শোভাযাত্রায় যোগ দিতে পারেন, সেজন্য পূর্বনির্ধারিত সময় থেকে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা পেছানো হয়। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে বকুলতলার মঞ্চে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বাউল গান।শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা বর্ষবরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম। আশির দশকে সামরিক শাসনের অর্গল ভাঙার আহ্বানে পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল; সেটিই পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ নেয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিও পায় এ কর্মসূচি।
  • Link to this news (আজকাল)