পিয়ালী মিত্র: 'অভিযোগ এসেছিল'! বেহালায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তল্লাশির কথা স্বীকার করে নিল আয়কর দফতর। তবে তাদের দাবি, 'আয়কর আইনে ১৩ নম্বর ধারা মেনে যে তল্লাশি চালানো হয়, এটা তেমনই ঘটনা নয়'।
ঘটনাটি ঠিক কী? দোরগোড়ায় লোকসভা ভোটে। রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে ব্যস্ত অভিষেক। আগামিকাল, সোমবার কলকাতা থেকে চপারে হলদিয়ার যাওয়া কথা তাঁর।
এদিন বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে সেই চপারের ট্রায়াল রান চলছিল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, 'তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপার, হেলিকপ্টারে ট্রায়াল রানের সময়ে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আচমকা হাল্লার রাজার সেনার মতো তল্লাশি করেছে। কেন তল্লাশি? বলতে পারেনি। নিরাপত্তারক্ষীরা ছবি তুলে যাচ্ছিল, ছবি তুলে দেইনি। ঝগড়া করেছে। কিছু খুঁজে পাইনি, অথচ প্রত্যেক ব্যাগ জিনিসপত্র খুলে, দেখে তছনছ করেছ। বাধা দিতে গেলে বা প্রশ্ন করলে বলছে, আটকে রাখব, দেরি করাব'।
চুপ করে থাকেননি অভিষেকও। এক্স হ্য়ান্ডেল পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'NIA-র ডিজিকে না সরিয়ে আয়কর দফতরকে দিয়ে আমার চপারে তল্লাশি চালিয়েছে। কিছুই মেলেনি। জমিদাররা যাই করুক, বাংলা দমবে না'। আয়কর দফতর সূত্রের দাবি, 'আয়কর আইনে ১৩ নম্বর ধারা মেনে যে তল্লাশি চালানো হয়, এটা তেমনই ঘটনা নয়। ভোটের সময় যদি কোনও অভিযোগ আসে, তাহলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালায় কুইক রেসপন্স টিম। এক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই রুটিন তল্লাশি চালানো হয়েছে অভিষেকে চপারে'।
এদিকে 'আয়কর যদি কোথাও হানা দেয়, বাধা দেওয়ার কি আছে'! পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা, বরানগর উপনির্বাচনে প্রার্থী সজল ঘোষ। তাঁর মতে, 'নির্দিষ্ট খবর ছিল হয়তো, সেই খবরের সূত্রে গিয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই যদি কিছু না করে থাকেন। আর যদি করে থাকেন, তাহলে একে তাহলে একে তাকে দোষী দিয়ে লাভ কী'।