• Weather Forecast : নববর্ষে ফের ৪০ ডিগ্রিতে বাংলা, তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি
    এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: মেঘহীন ঝকঝকে নীল আকাশ। রবিবার পয়লা বৈশাখে ছুটির দিনে বেলা একটু বাড়তেই বাসে যাত্রীর সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করল। আগুনের হলকার মতো গরম বাতাসের প্রবাহ আবারও শরীরের অনাবৃত অংশের চামড়া পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিচ্ছিল। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটা এ ভাবেই শুরু করলেন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা।ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার দৌলতে মাঝের কয়েকটা দিন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা অনেকটাই সহনীয় ছিল। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলোয় তৈরি হওয়া তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতেও ইতি পড়ে। ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখা সরতেই ফের গরমের দাপট শুরু হলো দক্ষিণবঙ্গে। বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনেই রাজ্যের অন্তত তিন জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর পার করে ফেলল। ৪০ ডিগ্রির দরজায় পৌঁছে গেল রাজ্যের আরও দু’জায়গার তাপমাত্রা।

    নববর্ষে ফের ৪০ ডিগ্রিতে বাংলা

    রবিবার বিকেলে আলিপুর হাওয়া অফিস যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন রাজ্যের মধ্যে উষ্ণতম ছিল বাঁকুড়া (৪০.২)। উষ্ণতার নিরিখে একটুর জন্য পিছিয়ে রইল ব্যারাকপুর ও পানাগড় (৪০.১)। আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৬ থেকে এ পর্যন্ত বাংলা নববর্ষে মাত্র একবারই কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩-এ এপ্রিলে মোট পাঁচ দিন মহানগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘর পার করেছিল।

    এ বছরও বেলা বাড়তেই যে ভাবে আগুনের মতো গরম হাওয়া বয়ে যেতে শুরু করেছিল, তাতে মনে হচ্ছিল হয়তো পুরোনো রেকর্ড ভেঙেও যেতে পারে এবার। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল, কলকাতায় ২০২৪-এর পয়লা বৈশাখের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩৭.৯) পিছিয়েই থাকল ২০২৩ (৩৯.২) এবং ২০১৬-র (৪০) চেয়ে। তবে রেকর্ড বলছে, গত ন’বছরে তৃতীয় উষ্ণতম নববর্ষ দেখল কলকাতা।

    নতুন সপ্তাহ কেমন কাটবে সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে আবহবিদরা জানাচ্ছেন, সামনের কয়েকদিনে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলোয় দিনের তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। বৃষ্টির আশাও আপাতত দিতে পারছেন না আবহবিদরা। ফলে তাপমাত্রা এই হারে চড়লে আবার দক্ষিণবঙ্গের বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    তবে উত্তরবঙ্গে এই সপ্তাহে দু’দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের উত্তর প্রান্তের আট জেলার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে তুলনামূলকভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)