• উগ্ররূপা দেবী কালরাত্রিই করেন গ্রহদোষ নিবারণ, দেন কাঙ্ক্ষিত বর
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • নবরাত্রির সপ্তম দিনে দেবী দুর্গার সপ্তম রূপ, ‘কালরাত্রি’-র পুজো করা হয়। পুরাণ অনুযায়ী, কালরাত্রির পুজো করলে অসুরের নাশ হয়। দেবী সর্বদা শুভ ফল দান করেন বলে, তাঁকে শুভঙ্করীও বলা হয়। সঙ্গে, তিনি তাঁর ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত ভয় দূর করে আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করেন।

    ধূপ, দীপ জ্বালানো হয়। মন্ত্রপাঠ করা হয়। দেবীর প্রিয় ফুল হল রক্তজবা। ১০৮টি জবা ফুল দিয়ে গাঁথা মালা দেবীর চরণে অর্পণ করতে হয়। দেবীকে সাদা জুঁই এবং নীল রঙের ফুলও অর্পণ করা হয়। ভোগ নিবেদন করা হয়। জল নিবেদন করা হয়।

    দেবী কালরাত্রির মন্ত্র
    উত্তর দিকে মুখ করে বসে ১১ বার জপ করতে হয়-

    ওঁ হ্রীং কালরাত্রি শ্রীং করালী।
    চ ক্রীং কল্যাণী কলাবতী।।
    কমলা কলিদর্পঘ্নী কপর্দীশকৃপান্বিতা।
    কামবীজজপানন্দা কামবীজস্বরূপিণী।।
    কুমতিঘ্নী কুলীনার্তিনাশিনী কুলকামিনী।
    ক্রীং হ্রীং শ্রীং মন্ত্রবর্ণেন কালকণ্টকঘাতিনী।।
    কৃপাময়ী কৃপাধারা কৃপাপারা কৃপাগমা।
    ওঁ দেবী কালরাত্রৈ নমঃ।।
    ইয়া দেবী সর্বভূতেষু কালরাত্রি রূপেণ সংস্থিতা।
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।

    দেবী কালরাত্রির কথা

    পুরাণ অনুযায়ী, দেবী পার্বতীকে বন্দি করতে অসুরদের দলপতি শুম্ভ ও নিশুম্ভ তাদের সেনাপতি চণ্ড ও মুণ্ডকে পাঠিয়েছিল। চণ্ড ও মুণ্ড বহু সেনা, অশ্ব, রথ, হাতি নিয়ে যুদ্ধে এসে হিমালয়ের চূড়ায় হাস্যরত দেবীকে দেখতে পান। দেবী আক্রমণরত অসুরদের দেখে ভীষণ ক্রুদ্ধ হন। রাগে তাঁর মুখমণ্ডল কালো হয়ে যায়। দেবীর কপাল থেকে এক ভীষণ দর্শনা দেবী এই সময় প্রকট হন। সেই দেবী কালিকা বা কালরাত্রি। তিনি অতি ভীষণা, ভয়ংকরী, কোটরগতা, আরক্ত চক্ষুবিশিষ্টা। সেই ভয়ংকরী দেবী ভীষণ হুঙ্কার দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করেন। বহু অসুরকে পা দিয়ে পিষে বধ করেন। বহু অসুর দেবীর খড়গের আঘাতে মারা যায়। এরপর দেবী তাঁর খড়গ তুলে ‘হং’ শব্দ করে চণ্ডের দিকে ধেয়ে যান। দেবী চণ্ডের চুলের মুঠি ধরে খড়গ দিয়ে এককোপে তাঁর শিরোশ্ছেদ করেন। চণ্ড নিহত হয়েছে দেখে ক্রোধে মুণ্ড দেবীর দিকে ধেয়ে গেলে, দেবী তার শিরও খড়গ দিয়ে ছেদ করেন। চণ্ড ও মুণ্ডকে বধ করে তাদের মাথা কেটে নেওয়ার জন্য দেবী কালরাত্রির অপর নাম হয়, ‘চামুণ্ডা’।

    দেবী কালরাত্রির ভোগ

    ছোলা, মুড়কি, ফল, শরবত, পোলাও খিচুড়ি, সাদা অন্ন, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচরকম তরকারি, পায়েস, শোল, ইলিশ, চিংড়ি সহযোগে বিশেষ ভোগ, লুচি, আলুভাজা, পাঁচ রকম মিষ্টি, পাঁচ রকম ফল, ক্ষীর ভোগ, পাঁঠার মাংস।
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)