Tripura Election: লোকসভার পর বিরোধী দলনেতার পদ খোয়াবেন সিপিএম নেতা, ভবিষ্যদ্বাণী ত্রিপুরার মন্ত্রীর
এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতার পদ হারাবেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। শনিবার বিজেপির রামনগর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী দীপক মজুমদারের জন্য একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী রতন লাল নাথ।এদিন বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘সিপিআইএম এবং কংগ্রস উভয় বিধায়কই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী ভোটের পর তার মর্যাদা হারাবেন, আর তার কারণ হলো নির্বাচনের পর প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক আর অবশিষ্ট থাকবে না।’ এদিন তিনি আরও বলেন যে, তিনজন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে দুজন বিধায়ক শীঘ্রই দল ছাড়বেন।
এদিন সমাবেশে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০টিরো বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘সিপিআইএম এবং কংগ্রেস নিয়ে গঠিত ইন্ডিয়া ব্লক প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সরাতে পারবে না। আমরা বিশ্বাস করি মানুষ ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের মতো লোকসভা নির্বাচনেও বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা রাজ্যের লোকসভা আসন এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে আমাদের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।’ বলাই বাহুল্য, রতন লাল নাথ এবং সুশান্ত চৌধুরী আগে কংগ্রেসে ছিলেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুজনই বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন।
৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় বর্তমানে ৫৯ জন বিধায়ক আছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান বিজেপি বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত মারা যাওয়ার পর রামনগর বিধানসভা আসনটি শূন্য হয়ে যায়। সংখ্যার হিসাবে, বিজেপির ৩২ জন বিধায়ক, টিপরা মোথার ১৩ এবং সিপিআইএমের ১০ জন বিধায়ক রয়েছেন। যেখানে কংগ্রেসের তিনজন বিধায়ক এবং বিজেপির সহযোগী আইপিএফটি-র একক বিধায়ক রয়েছে। ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার পাশাপাশি রামনগর আসনের উপনির্বাচনও হওয়ার কথা আছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই জিতেন্দ্র চৌধুরীকে তীব্র কটাক্ষ করেন পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের বিজেপি প্রার্থী বিল্পব কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। কিন্তু তাঁর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ব্যক্তিত্বই নেই। তিনি আদা কেলেঙ্কারির নায়ক। তাই লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে সিপিএমকে চিরতরে বিদায় জানানো হবে।’
তিনি বলেন, ত্রিপুরার রাজনৈতিক খুন বামফ্রন্টের আমল থেকে শুরু হয়েছিল। বাম আমলে বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছিলেন। এদিন এভাবেই জিতেন্দ্র চৌধুরীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিপ্লব কুমার দেব।