• Election Commission : ভোটের দিন সরকারি-বেসরকারি অফিসে সবেতন ছুটি? ভোটারদের বিভ্রান্তি নিয়ে মুখ খুলল কমিশন
    এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • হাতে আর বাকি মোটে চারদিন। তারপরই শুরু হচ্ছে দেশের ১৮তম সাধারণ নির্বাচন। লোকসভা ভোট চলবে সাত দফায়। তবে ভোটের দিন কি কর্মরত ভোটারদের বেতন কাটা যাবে? এই নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারীরা। ভোট দিতে গেলে অফিস যাওয়ার উপায় নেই। তাহলে উপায়? বিভ্রান্তি দূর করল নির্বাচন কমিশন।দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কৃষ্ণমূর্তি বলেন, 'ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ছুটি থাকবে। তবে কোনও কর্মচারীর বেতন কাটা যাবে না সেদিন। সবেতন ছুটি থাকবে সেদিন। বেসরকারি কর্মচারীদেরও হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁরাও ভোটের দিনের বেতন পাবেন। যাতে বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এতে ভোটের হার বাড়বে।'

    ভোটের দিন সবেতন ছুটিদিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কৃষ্ণমূর্তি বলেন, 'জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারি হোক বা বেসরকারি, দিল্লিতে সমস্ত চাকরিজীবীরা ভোটের দিন ছুটি পাবেন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য সমস্ত চাকরিরতদের সবেতন এই ছুটি দেওয়া হবে। এ ছাড়াও দিল্লিতে কর্মরত পড়শি রাজ্য উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের ভোটাররাও ২৫ মে নির্বাচনের দিন সবেতন ছুটি পাবেন।'

    নির্দেশ পালন না করলেই জরিমানাপ্রত্যেক বেসরকারি সংস্থা কর্তৃপক্ষকে ভোটের দিন কর্মীদের সবেতন ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও বাধা ছাড়া যাতে ভোটের দিন কর্মচারীরা সবেতন ছুটি পান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে সমস্ত সংস্থার মালিকদের। নির্দেশ পালন না করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার মালিককে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হবে।'

    নির্বাচন কমিশনের নিয়ম কী?১৯৫১ সালের রেপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপলস অ্যাক্ট অনুযায়ী, ভোটের দিন নির্দিষ্ট কেন্দ্রের প্রত্যেক ভোটার কর্মস্থল থেকে ছুটি পাবেন। এই অ্যাক্টের ১৩৫বি ধারা অনুযায়ী, সবেতন ছুটি ধার্য করতে হবে লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের জন্য। সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি এবং সমস্ত প্রকারের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই সবেতন ছুটি বাধ্যতামূলক। ১৯৫১ সালের রেপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপলস অ্যাক্ট এও জানাচ্ছে, যদি কোনও সংস্থার তরফে ভোটারদের ছুটি না দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে কর্তপক্ষকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ফাইন দিতে হতে পারে।

    কোনও ভোটার যদি কর্মসূত্রে অন্যত্র বাস করেন, সে ক্ষেত্রেও নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁকে কর্মস্থল থেকে সবেতন ছুটি দেওয়া বাধ্যতামূলক। উদাহরণ স্বরূপ- কোনও ভোটার যদি কলকাতার বাসিন্দা হন এবং কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন, সে ক্ষেত্রে দিল্লির নির্বাচনের দিন (২৫ মে) তাঁকে দিল্লির সংস্থা সবেতন ছুটি দিতে বাধ্য। আবার উত্তর প্রদেশের কোনও বাসিন্দা যদি কর্মসূত্রে কেরালায় থাকেন তবে কেরালার ভোটের দিন (২৬ এপ্রিল) কেরালার কর্মক্ষেত্র থেকে তিনি সবেতন ছুটি পাবেন।

    পশ্চিমবঙ্গে ছুটি ঘোষণাপশ্চিমবঙ্গে এবার সাত দফায় ভোট হবে। ভোটের দিনগুলিতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে ইতিমধ্যেই সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে নবান্ন। যে যে কেন্দ্রে যে তারিখে নির্বাচন রয়েছে সেই কেন্দ্রগুলিতে সেদিন ভোটাররা সবেতন ছুটি পাবেন। কেবলমাত্র সরকারি দফতর নয়, বেসরকারি কর্মীদেরও ওই দিনগুলিতে ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে।
  • Link to this news (এই সময়)