সিঙ্গুরের দই, পান্ডুয়ার ঘুগনির পর এবার ধনিয়াখালির চা! নববর্ষে 'লিকার চা' বা 'র চায়ের' প্রশংসায় পঞ্চমুখ হুগলি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে একের পর এক খাবারের প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না।রবিবার নববর্ষের দিন ধনিয়াখালির কানানদী এলাকায় হাজির ছিলেন রচনা। এলাকায় গিয়ে তিনি প্রচার করছেন। দোকান থেকে নিজে চা নিয়ে শুধু চায়ে চুমুক দিলেন যে তা নয়, সবার হাতে গরম গরম চা তুলে দেন তিনি। এর আগে তিনি সবুজায়ন প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে সিঙ্গুরের দইয়ের প্রশংসা করেছিলেন। তবে এবার লিকার চা দেখা গিয়েছিল তাঁর কাপে। নিজের হাতে দলীয় কর্মীদের হাতে চা তুলে দেন রচনা। পাশাপাশি নববর্ষ উপলক্ষে সকলকের হাতে মিষ্টিও তুলে দেন তিনি। চায়ের স্বাদ কেমন লাগছে!
এই প্রশ্ন শুনে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সারাদিন প্রচারে ব্যস্ত। সকলের সঙ্গে চা খেতে বেশ ভালো লাগছে।' পাশাপাশি নববর্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন রচনা। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার তাঁকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে রীতিমতো সকলকে চমকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছিল রাজ্যের শাসক দলের। BJP প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েন এবং জয়ীও হন। তাঁকেই এইবারও প্রার্থী করেছে BJP। উল্লেখ্য, একাধিক সিনেমাতে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা গিয়েছে লকেট এবং রচনাকে। এবার রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষ তাঁরা।
'ও আমার বন্ধু, এটা হোক আমি চাই না' মন্তব্য লকেটের
সম্প্রতি রচনার বেশ কিছু মন্তব্য নিয়ে একাধিক মিম তৈরি হয়। হুগলিতে শিল্প হয়েছে তা বোঝাতে গিয়ে ‘চারিদিকে ধোঁয়ায় ধোঁয়া’ মন্তব্য করেছিলেন রচনা। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। একাধিক মিম তৈরি হয়। যদিও অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, এই ধরনের মিমকে তিনি খুব একটা গুরুত্ব দেন না। হালকাভাবেই পুরোটা নেন।
অন্যদিকে, মিম নিয়ে রচনাকে কটাক্ষ করার সমালোচনা করেছেন লকেট। তিনি রচনাকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘কোনও মহিলাকে নিয়ে মিম হলে আমার ভালো লাগে না। সবকিছু এত গুরুগম্ভীরভাবে নেওয়া ঠিক নয়। ও আমার বন্ধু।’ এখন দেখার হুগলির লোকসভা নির্বাচনে দুই দিদির লড়াইয়ে শেষমেশ হাসি ফোটে কার ঠোঁটে!