Ram Navami 2024 : রাজ্যের আবেদন খারিজ, রামনবমীর শোভাযাত্রায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের নির্দেশ হাইকোর্টের
এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
রামনবমীর শোভাযাত্রা প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে – রাজ্যকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ধর্মীয় বিশ্বাসে বাধা দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। সেই কারণে হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলের রুট পরিবর্তনের ব্যাপারে রাজ্যের দাবি খারিল করল উচ্চ আদালত।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন জানান, প্রতিটি মানুষের নিজের মত বা ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী অনুষ্ঠান করার অধিকার রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাদের সেই কাজে বাধা দেওয়া যায় না। সেই কারণে রাজ্যের দাবি মেনে এই শোভাযাত্রায় লোক কমানোর বা রুট পরিবর্তন করার যুক্তি নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, মাত্র ২০০ লোকের শোভাযাত্রা যদি পুলিশ সামাল দিতে না পারে, তাহলে কিছু বলার নেই। বিচারপতি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভিড় সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’ হাওড়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম নবমীর শোভা যাত্রা নিয়ে রাজ্যের আপত্তিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তেরর বক্তব্য, ‘রাজ্যের দাবি অনুযায়ী গত বছর এই শোভা যাত্রা ১০ থেকে ১২ হাজার লোক ছিল। একইসঙ্গে সেখানে মারাত্মক গোলমাল হওয়ায় NIA তদন্ত চলছে। কিন্তু এবার তারাই ২০০ লোক নিয়ে শোভা যাত্রার আয়োজন করেছে। তাই এখানে আর রুট বদল বা লোক কমানোর মতো শর্ত দিতে নারাজ হাইকোর্ট।’
রামনবমীর আগে হেঁটে অযোধ্যার পথে সুমন-দীপ
রাজ্যের তরফে যুক্তি দেখানো হয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুধু হাওড়ায় ১৭ টি শোভাযাত্রার অনুমতি দিয়েছে। এ বছর আমাদের এত ফোর্স নেই। তাই এই শোভাযাত্রা বন্ধ করার আবেদন করছি। রাজ্যের বক্তব্য শুনে উচ্চ আদালত জানায়, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে রাম নবমীর ওই শোভা যাত্রার ব্যবস্থা করবে রাজ্য। অন্যদিকে, ২০০ লোক নিয়েই শোভাযাত্রা যাতে নিশ্চিত করা যায়, তার জন্য আগাম ঘোষণা করতে হবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে। প্রয়োজনে লিফলেট বিলি করে এই কথা জানাতে হবে। শোভাযাত্রায় যাতে অতিরিক্ত লোক সমাগম না হয় সে ব্যাপারে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই শোভাযাত্রায় অঞ্জনি পুত্র সেনা নামের একটি সংগঠন যুক্ত থাকত। মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, এবার ওই সংগঠনের শোভাযাত্রা পরের রবিবার করা হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ এপ্রিল রাম নবমী অনুষ্ঠিত হবে গোটা দেশ জুড়ে। সেই কারণে, হাওড়ায় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির তরফে। নির্বাচনী আচরণবিধি চলার মাঝে এই মিছিল নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা করে রুট পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।