• Fire In Kolkata : নববর্ষ-সন্ধ্যায় চিনার পার্কে বিধ্বংসী আগুন রেস্তোরাঁয়
    এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়, রাজারহাট: দমদমে আগুনের উত্তাপ কমার আগেই আবার বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো শহরে। এবার ঘটনাস্থল চিনার পার্ক। বাংলা নববর্ষের প্রথম সন্ধ্যায় সাধারণ মানুষ বেরিয়েছিলেন আনন্দ করতে। অনেকেই গিয়েছিলেন চিনার পার্কের একাধিক রেস্তরাঁয় ডিনার করতে। পয়লা বৈশাখের জন্য ভালো করে সাজানোও হয়েছিল দোকানগুলি।কিন্তু রবিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ ভয়ঙ্কর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ওই এলাকার একটি ধাবা ও একটি বহুজাতিক সংস্থার খাবারের দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের আরও কয়েকটি ক্যাফে-দোকান।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিটি সেন্টার-২ থেকে বিমানবন্দরগামী বিশ্ববাংলা সরণির ধারেই রয়েছে ওই দোতলা বিল্ডিং। সেখানে গ্রাউন্ড ফ্লোর এবং একতলার উপরে দু'টি রেস্তরাঁ চলত। বিল্ডিংয়ের একপাশে রয়েছে কনফেকশনারি দোকান এবং অন্য পাড়ে আরও একটি রেস্তরাঁ। সামনেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলছে। জায়গাটি ঘনবসতিপূর্ণ।

    নববর্ষ উদযাপনে এদিন সন্ধ্যায় সেখানে খেতেও এসেছিলেন প্রচুর মানুষ। সার্ভিস রোডের ধারে পার্ক করা ছিল অনেক গাড়ি। ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওই দোতলা বিল্ডিংয়ে আচমকা আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে রেস্তরাঁর বাইরে বের করে আনা হয়। দোকানের কর্মচারীরাও বেরিয়ে পড়েন।

    দমকলে খবর দিলেও তাদের আসার আগেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গোটা বিল্ডিং গ্রাস করে নেয়। খবর পেয়ে বাগুইআটি থানা এবং ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। চলে আসে দমকলের দু'টি ইঞ্জিনও। আগুনের জেরে বিমানবন্দরগামী লেনে গাড়ির গতি স্লথ হয়ে যায়।

    যেহেতু ওই এলাকায় প্রচুর রেস্তরাঁ এবং অন্য দোকান, শপিং মল রয়েছে, তাই আগুন ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে আতঙ্কও ছড়ায়। কালো ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যায়। বেশিরভাগ মানুষ হুড়োহুড়ি করে সরে যান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেন।

    একদিকে মেট্রোর কাজ, অন্যদিকে সংকীর্ণ সার্ভিস রোডে গাড়ি পার্কিং- সব মিলিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। দমকলের ইঞ্জিনও ঘটনাস্থলে ঢুকতে হিমশিম খায়। পরিস্থিতির জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ব বাংলা সরণি। প্রবল যানজটে আটকে পড়ে আগুন নেভাতে আসা আরও দুটি ইঞ্জিন। পরে পুলিশের সাহায্যে সেগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে কারও প্রাণহানি হয়নি, এটাই স্বস্তি পুলিশের কাছে।
  • Link to this news (এই সময়)