Suvendu Adhikari : ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে কমিশনের বাধা নেই, দাবি শুভেন্দুর! পালটা তৃণমূল
এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
গত ৩১ মার্চ ক্ষণিকের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। বিশেষভাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুকিকে আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছিল সরকার। এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলা হয়। কমিশন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।সোমবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি দাবি করেন, গত ৯ এপ্রিল রাজ্য় সরকারকে এ বিষয়ে চিঠি দিযেছে নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠিতে জানানো হয়, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিকে আদর্শ আচরণ বিধির বাইরে রাখা হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য করতে কোনও বাধা নেই। তৃণমূলের তরফে বিষয়টি ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। দুর্যোগে ক্ষতিপূরণের একটি বড় অংশ NDRF-এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় বলেও জানান তিনি।
যদিও, শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পালটা বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী নিজে থেকে নির্বাচন কমিশনের হয়ে বলছেন কেন? কমিশন যদি নির্দিষ্ট আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েই থাকে, তাহলে তারা নিজেরাই সেটা প্রকাশ্যে বলুক।’
তৃণমূলের বক্তব্য, আদর্শ আচরণবিধি থাকার কারণে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যাপারে অনুমতি ছিল কমিশনের। দুদিন আগেই একটি সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই ২০ হাজার টাকা দিয়ে যাঁদের ঘর-বাড়ি পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেটা মেরামত করা সম্ভব নয়। রাজ্য প্রশাসনের তরফে চাওয়া হয়েছিল, মোট এক লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে। সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা না আসায় রাজ্য সরকার নিজেরাই এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত শুক্রবার জলপাইগুড়িতে নির্বাচনী সভা করতে যান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নির্বাচনী সভার শেষে জলপাইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই, তিনি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের একাংশ মিটিয়ে দেওয়ার কথা জানান। প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি ৬০ হাজার টাকা সাহায্যের ব্যাপারে আশ্বাস দেন তিনি।