Lok Sabha Election 2024: 'শুধু হিন্দুদের নয়, সব ধর্মের দেশ ভারত', কী বলছে প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা?
এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেইমতোই চলছে এজেন্ডা সেটিংয়ের কাজও। রাজনৈতিক দলগুলি চেষ্টা করে সেই সব বিষয়গুলিকে ফোকাস করতে যেগুলিকে তারা গুরুত্ব দিতে চাইছে। অবশেষে প্রাক নির্বাচন সমীক্ষার পর কিছু বিষয় জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে কারণ সেগুলি ভোটারদের বাস্তব অভিজ্ঞতার অংশ। সম্প্রতি সামনে এসেছে সিএসডিসি লোকনীতি ২০২৪- প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষার ফল।
সমীক্ষা চলাকালীন দশজন ভারতীয়ের মধ্যে আটজনই বলেছেন ভারত শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়, সবধর্মের মানুষেরই। এমন সময় এই সমীক্ষার ফল সামনে এসেছে যখন দেশে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা কঠোর হওয়ার এবং সংখ্যালঘুদের কোণঠাসা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে হওয়া লোকনীতি ২০২৪ সালের প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় ১৯ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে মোট ১০,০১৯ জন উত্তরদাতা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, নয়াদিল্লি, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা এবং ছত্তিশগড় থেকে এসেছিলেন।
সমীক্ষাটি ১০০টি সংসদীয় কেন্দ্রের ১০০ টি বিধানসভা আসন জুড়ে ৪০০টি ভোট কেন্দ্রে চালানো হয়েছিল।
সমীক্ষার এই ফলাফল প্রমাণ করে যে রাজনীতিতে ‘তীক্ষ্ণ ধর্মীয় বিভাজন’ থাকলেও সমাজজুড়ে তা আদপে নাও হতে পারে। শহরাঞ্চল থেকে উত্তরদাতাদের ৮৫ শতাংশ এবং শিক্ষিত ব্যক্তিদের ৮৩ শতাংশ মানুষ ধর্মীয় বহুত্ববাদের প্রতি জোরালো সমর্থন দেখিয়েছেন। এমনকি ১৮ বছর বয়সী থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবাদের মধ্যে ৮১ শতাংশ এবং ৫৬ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে ৭৩ শতাংশ মানুষ এমনটা মনে করেন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
উত্তরদাতাদের ৭৭ শতাংশ সম্মত হয়েছেন যে ভারত সব ধর্মের মানুষের। ৮৭ শতাংশ মুসলিম এবং ৮১ শতাংশ অন্যান্য ধর্মের উত্তরদাতারা এই মত পোষণ করেন।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, শহুরে এলাকার মানুষেরা গ্রামীণ এলাকার মানুষদের তুলনায় ধর্মীয় বহুত্ববাদে বেশি বিশ্বাস করে।
অন্যদিকে, হিন্দু হিসাবে চিহ্নিত উত্তরদাতাদের অর্ধেকেরও বেশি বিশ্বাস করেন যে রাম মন্দির নির্মাণ হিন্দু পরিচয়কে সংহত করবে কিন্তু ২৫ শতাংশ মানুষ বলেচেন যে এটি ভোটে খুব বেশি পার্থক্য করবে না। ৩২ শতাংশ মুসলিম এবং ২২ শতাংশ হিন্দু বিশ্বাস করেন যে রাম মন্দির ধর্মীয় পার্থক্য বাড়াবে। অন্যদিকে আবার ১৩ শতাংশ মুসলমান বলেছেন যে রাম মন্দির দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি বাড়াবে।