সদ্য় পেরিয়েছে খুশির ইদ। গোটা দুনিয়া মেতেছিলে ইদের আনন্দে। এবার অপেক্ষা বখরি ইদের। ইসলামীয় ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ মাসের নামে দিহু-অল-হিজ্জা। এই মাসের দশম দিনে পালিত হয় ইদ-উল-আজহা বা বখরি ইদ। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।ইদ-উল-আজহায় পশু কোরবানির প্রথা রয়েছে। কোরবানি শব্দের অর্থ কী? কেন এই উৎসবকে বখরি ইদ বলা হয়?
কোরবানি শব্দের অর্থ হল ত্যাগ ও তিতিক্ষা। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ত্যাগের মাধ্য়মেই আল্লাহ কাছাকাছি পৌঁছনো যায়। সেই নৈকট্য অর্জনকেই বলা হয় কোরবানি। ইদ শব্দের অর্থ হল আনন্দ। আর আজহা বলতে বোঝায় পসু কোরবানিকে। মূলত এই উৎসবে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কোরবান করেন পাঁঠা, ছাগল বা ভেড়া। হিন্দিতে এই প্রাণীগুলিকেই বলা হয় বকরি। আর তাই এই উৎসবের আর এক নাম বকরি ইদ। এই ইদের প্রচলন করেছিলেন হজরত ইব্রাহিম। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে বছরের শেষ মাসে পালন করা হয় বখরি ইদ। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, আল্লাহ ইব্রাহিমকে তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি দিতে বলেছিলেন। আল্লাহর নির্দেশ রাখতে নিজের চোখ বেঁধে ইব্রাহিম প্রানপ্রিয় পুত্রের কুরবানি দেন। কিন্তু চোখ খুলে দেখেন তাঁর পুত্র তাঁর সামনেই হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সেখান থেকেই শুরু হয় ইদ-উল-আজহা।
রমজান মাসের শেষে পালিত হওয়া ইদ-উল-ফিতর। এই ইদ খুশির ইদ বা মিঠি ইদ নামেও পরিচিত। মিঠি ইদের মোটামুটি ৭০ দিন পর পালিত হয় বখরি ইদ। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে বখরি ইদ। এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে ২০২৪ সালের ১৭ জুন,সোমবার পালিত হবে বখরি ইদ।
আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০২৪ সালের ঈদ আল আজহার প্রথম দিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ানের ভবিষ্যদ্বাণী আরফাত দিবস রবিবার ১৬ জুন থেকে শুরু হবে ও পরের দিনটি ইদ উল আজহা শুরু হবে। 'আরাফাহ' (ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, শেষ আরাফাহের দিনে উপবাস করার মাধ্যমে শেষ হতে চলা বছর এবং আগামী বছরের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা) পালনের পরের দিন পালিত হয় বখরি ইদ।
জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গণনা অনুসারে, সোমবার, ১৭ জুন থেকে ১৯ জুন বুধবার পর্যন্ত সরকারি ছুটির দিন (তবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে) মিলতে পারে। সুতরাং, যাদের শনিবার এবং রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে তাদের কাজ ২০ জুন বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে একসঙ্গে পাঁচ দিনের ছুটি মিলতে পারে।