মহিলার উপর দিয়ে চলে গেল স্পিডবোট! দিঘার সমুদ্রে তীব্র আতঙ্ক
এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
দিঘার সমুদ্রে স্পিডবোট দুর্ঘটনা। গুরুতর আহত পর্যটক মহিলা। মহিলার উপর দিয়ে স্পিডবোট চলে যাওার অভিযোগ। বোটের পাখায় পর্যটকের দেহের বিভিন্ন অংশে কেটে গিয়েছে। আহত ওই মহিলার নাম ইয়াসমিনা খাতুন। তবে লাইফ জ্যাকেট থাকায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। ঘটনার জেরে অন্যান্য পর্যটকদের মধ্যে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।সারাবছরই কম বেশি পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকে দিঘা। তেমনই এদিনও সমুদ্র সৈকতে প্রচুর পর্যটক দেখা যায়। তাদের কেউ কেউ স্পিডবোটেও চাপছিলেন। ঠিক তেমনই স্পডিবোটে চাপেন, ইয়াসমিনা খাতুন। অভিযোগ, স্পিডবোট চালানোর সময় সচেতনতা অবলম্বন করা হয়নি। আর তাতেই বোট থেকে পড়ে যান ইয়াসমিনা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর উপর দিয়েই চলে যায় স্পিডবোট। তাতেই গুরুতর আহত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে জল থেকে তুলে পাড়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর একটি মোটরচালিত ভ্যানে করে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে। কারণ দিঘায় যাঁরা বেড়াতে যান তাঁদের মঝ্যে অনেকেই এই স্পিডবোটে বা অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে অংশ নেন। তাই এণই ঘটনা ফের একবার পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
এর আগে গতবছর অক্টোবর মাসেও দিঘায় ঘটে যায় এই ধরনেরই একটি ঘটনা। স্পিডবোর্ডের ধাক্কায় গুরুতর আহত এক পর্যটক। জানা যায়, নিউ দিঘার হলিডেহোম ঘাটে স্নান করার সময় ওই পর্যটককে আচমকাই ধাক্কা মারে একটি স্পিডবোট। ঘটনায় পর্যটক যুবকের পায়ে হাতে ও পেটের বিভিন্ন অংশ স্পিড বোর্ডের পাখার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসতেই দিঘা থানার পুলিশ কর্মীরা তড়িঘড়ি ওই পর্যটককে উদ্ধার করে দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আহত পর্যটকের নাম ছিল সরূপ আলি মোল্লা। বাড়ি রাজারহাটের বিদ্যাধরপুর এলাকায়। চার বন্ধু মিলে পুজোর ছুটিতে দিঘায় বেড়াতে যান। সমুদ্রে স্নান করতে নেমেই ঘটে যায় এমন বিপত্তি। ঘটনায় সেই সময় পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়ে, সমগ্ৰ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার বা কাদের গাফিলতিতে ওই দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে স্পিডবোডের চালককে থানায় ডেকে পাঠান হয়। আর সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের একবার দিঘার সমুদ্রে ঘটে গেল দুর্ঘটনা।