রোহিতের শতরানেও হার মুম্বইয়ের, ওয়াংখেড়ের মন কাড়লেন ধোনি ...
আজকাল | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওয়াংখেড়ে না চিদম্বরম? রবিবাসরীয় রাতে বোঝা দায় ছিল। রোহিতের মঞ্চে জয়জয়কার ধোনির। ম্যাচ শেষে ধোনির নামে ধ্বনি। বিপক্ষের ডেরায়ও নায়ক সেই মাহি। ১৩ বছর আগে এই স্টেডিয়ামেই ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল। এক দশক পর তাঁর ছয়ের হ্যাটট্রিক পার্থক্য গড়ে দিল। বল হাতে চেন্নাইয়ের জয় নিশ্চিত করেন মাথিশা পথিরনা। ২৮ বলে ৪ উইকেট নেন। ওয়াংখেড়েতে এর আগে ২০০ রান তাড়া করে জেতার নজির আছে। কিন্তু এদিন শ্রীলঙ্কান পেসারের বলে কুপোকাত মুম্বই। রোহিত শর্মার শতরানও বাঁচাতে পারল না হার্দিক পাণ্ডিয়ার দলকে। ৬৩ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক। ২০ রানে হার মুম্বইয়ের। প্রথম ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৬ রান তোলে চেন্নাই। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানে থামে মুম্বইয়ের ইনিংস। এদিনের জয়ে তিনে উঠে এল ধোনিরা। হারের জন্য দায়ী হার্দিক পাণ্ডিয়াও। জঘন্য নেতৃত্ব। তেমনই বোলিং পরিবর্তন। এদিনও নতুন বল দেওয়া হয়নি যশপ্রীত বুমরাকে। শেষ ওভারে বল করেন হার্দিক। এইসব সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হল মুম্বইকে। অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রথম জয় চেন্নাইয়ের। টসে জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠায় হার্দিক। শুরুতে সাফল্যও পায় মুম্বই। দলের ৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় সিএসকে। ৫ রানে ফেরেন অজিঙ্ক রাহানে। চেন্নাইয়ের ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল করা হয়। রচিন রবীন্দ্রর সঙ্গে ওপেন করেন রাহানে। ওয়ান ডাউনে নেমে রান পান ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। তৃতীয় উইকেটে শিবম দুবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৯০ রান তোলেন চেন্নাইয়ের নেতা। ৫টি ছয় এবং চারের সাহায্যে ৪০ বলে ৬৯ করেন ঋতুরাজ। আরও একটি দুর্দান্ত ইনিংস শিবমের। ৩৮ বলে ৬৭ রান করেন। ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ১০টি চার। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। তখন চেন্নাইয়ের ইনিংসে ৪ বল বাকি। পরপর তিন বলে ছক্কা। ওয়াংখেড়ের মন জয় করে নেন মাহি। তাঁর ৪ বলে ২০ রান দুশোর গণ্ডি পেরোতে সাহায্য করে। জোড়া উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তোলে চেন্নাই। পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ঝড় তোলেন রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিষাণ। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেট হারিয়ে মুম্বইয়ের রান ছিল ৬৩। একটা ওভারেই ম্যাচের রং বদলে দেন মাথিশা পথিরানা। অষ্টম ওভারে ফিরিয়ে দেন ঈশান কিষাণ এবং সুর্যকুমার যাদবকে। ১৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন মুম্বইয়ের উইকেটকিপার ব্যাটার। এক বলের ব্যবধানে খাতা না খুলেই ফিরে যান সূর্যকুমার। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তৃতীয় উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন রোহিত এবং তিলক। এই জুটি ম্যাচে ফেরাতে পারত মুম্বইকে। কিন্তু শুরুটা ভাল করেও ২০ বলে ৩১ রান করে ফেরেন তিলক। রান পাননি হার্দিক পাণ্ডিয়া। ২ রানে ফেরেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক। একদিকে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন রোহিত। কিন্তু সাপোর্ট দেওয়ার কেউ ছিল না। ৩০ বলে অর্ধশতরান করেন। ৬১ বলে সেঞ্চুরি। অনবদ্য ইনিংস। কিন্তু দলকে জেতাতে না পারায় শতরানের পর সেলিব্রেট করেননি মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক। মাঝের ওভারগুলোতে স্ট্রাইক পাননি রোহিত। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিল। নয়তো দলকে জিতিয়েই হয়তো মাঠ ছাড়তে পারতেন হিটম্যান। ওপেনিংয়ে নেমে ৫টি ছয়, ১১টি চারের সাহায্যে ৬৩ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত রোহিত। আইপিএলে তাঁর দ্বিতীয় শতরান।