• প্লাস্টিকের জারে মুখ ঢুকিয়ে বিপত্তি, সাতদিন পর উদ্ধার পেল সারমেয়...
    আজকাল | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি: একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আবারও রাস্তায় পড়ে থাকা প্লাস্টিকের জারে আটকে গেল সারমেয়র মুখ। এক সপ্তাহের মাথায় কেটে বের করা হলো জার। প্রাণ ফিরে পেল পথ সারমেয়। খাবারের খোঁজে কখন সে প্লাস্টিকের জারে মুখ ঢু্কিয়ে ফেলেছিল, বুঝতে পারেনি। পরে, নানান ভাবে অনেক চেষ্টা করেও আর সেটা আর খুলতে পারেনি। কেটে গেছে এক সপ্তাহ। না খাবার, না জল, প্রায় মরতে বসা পথ সারমেয়কে অবশেষে নতুন জীবন দিলেন জিরাটের দুই পশু প্রেমী। নতুন জীবন পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানায় সারমেয়টিও। মুক্তি পেয়েই নিজের ভঙ্গিতে ডেকে ওঠে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ এপ্রিল হুগলির বলাগড় থানার অন্তর্গত জিরাট পোস্ট অফিস পাড়ায়। দিন সাতেক আগে খাবারের খোঁজে রাস্তায় পড়ে থাকা প্লাস্টিকের জারে মুখ ঢুকিয়ে দেয় এক পথ সারমেয়। বিপদ ঘটতে সময় নেয়নি, গলা পর্যন্ত মুখটি জারে আটকে যায়। ওই অবস্থায় কেটে যায় এক সপ্তাহ। প্রচণ্ড গরমে জল খাবার কিছুই খতে পারেনা, ঘুরতে থাকে রাস্তায় রাস্তায়। বিষয়টি অনেকেরই নজরে পড়ে, তবে কেউই সেটা দেখেও এগিয়ে আসেনি। রবিবার সন্ধেয় ঘটনাটি চোখে পড়ে জিরাট হাট তলার বাসিন্দা টোটো চালক ও পশু প্রেমী প্রমথ বিশ্বাসের। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি খবর দেন পার্শ্ববর্তী গ্রাম মিলন গরের বাসিন্দা পশু প্রেমী ও বলা গড় নির্বাক নির্ভর সমিতির সম্পাদক বনমালী তপাদারকে। তৎক্ষণাৎ সারমেয়কে উদ্ধার করার উদ্যোগ নেন, বেশ কিছুক্ষনের প্রচেষ্টায় জারটি কাঁচি দিয়ে কেটে সারমেয়টিকে নতুন জীবন দেন। এরপর খাবার ও জল দেওয়া হয় সারমেয়টিকে। কৃতজ্ঞতা জানতে ভোলেনি পথ সারমেয়টিও। উদ্ধারকারী বনমালির বাইকের পিছু নেয় সে। উদ্ধার পাওয়ার পর বেশ কিছুটা রাস্তা বনমালীকে বাড়ির পথে কিছুটা এগিয়ে দিয়ে আসে। এদিন প্রমথ বিশ্বাস বলেছেন, তিনি টোটো নিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি দেখতে পান। স্থানীয়দের থেকে জানতে পারেন টানা এক সপ্তাহ ধরে সারমেয়টি এই অবস্থায় রয়েছে। তার পরেই তিনি বনমালিকে খবর দেন। বনমালী তপাদার বলেছেন, প্লাস্টিকের জার গলায় আটকে যাওয়ায় জল খাবার কিছুই খেতে পারছিল না সারমেয়টি। খবর পেয়ে তিনি পোস্ট অফিস পাড়ায় গিয়ে কয়েকজনের সাহায্যে জারটিকে কেটে খুলে দেন। বর্তমানে সারমেয়টি সুস্থ রয়েছে। মাস খানেক আগেই ধনিয়াখালীর ফিডার রোডে একই রকম ভাবে প্লাস্টিক জারে মুখ ঢুকিয়ে বিপদে পড়েছিল একটি সারমেয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে স্থানীয়দের সাহায্যে সারমেয়কে বাঁচিয়েছিলেন পশু প্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং। বারবার ঘটছে একই ধরনের ঘটনা। তবুও সচেতনতার অভাব। কোনও ভাবেই প্লাস্টিকের জার বা কৌটো বাইরে ফেলে রাখা বন্ধ হচ্ছে না।ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)