• 'ঘর মে ঘুসকে'? পাকিস্তানেই ৩ বুলেটে ঝাঁঝরা সরবজিতের হত্যাকারী, খুন ঘিরে 'রহস্য'
    আজ তক | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • Sarabjit Sing Murderer Murder Mystery: পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয় নাগরিক সরবজিৎ সিংয়ের হত্যাকারী আমির সরফরাজকে খুন আততায়ীর। ১১ বছর আগে আইএসআই-এর নির্দেশে জেলে খুন করা হয় সরবজিৎকে । ২০১৩-তে জেলের ভিতরেই হামলার শিকার হন সরবজিৎ। পাকিস্তানের কোট লাখপত জেলে হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আমির সরফরাজ তাম্বা পলিথিন দিয়ে শ্বাসরোধ করে, পিটিয়ে হত্যা করে।

    সরবজিতের হত্যার ঘটনা ১১ বছর পর শিরোনামে এসেছিল। সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন সরফরাজ তাম্বা, যিনি তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছিলেন, পাকিস্তানে 'রহস্যজনক আততায়ীদের' দ্বারা গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাম্বার ওপর যখন হামলা হয়, তখন তিনি বাড়িতে বসেছিলেন। দু’জন হামলাকারী বাইকে এসে দরজা খুলতেই আমির সরফরাজকে গুলি করে। গুলিতে আমির সরফরাজের তিনটি গুলি লাগে। তাতেই তিনি মারা যান।

    জানা গেছে, আমির সরফরাজ তাম্বার বাড়ি লাহোরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা সনন্ত নগরে। হামলা করতে আসা হামলাকারীরা বাইকে করে এসে তাম্বাকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাম্বার বুকে ও পায়ে গুলির ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।

    তাম্বার ভাই পুলিশকে যা বললেন?
    আমির সরফরাজ তাম্বার ভাই জুনায়েদ সরফরাজ পুলিশকে বলেছেন, 'ঘটনার সময়, রবিবার লাহোরের সনন্ত নগরে আমার বাড়িতে বড় ভাই আমির সরফরাজ তাম্বার সঙ্গে ছিলাম। নীচে ছিলাম, আর আমার বড় ভাই উপরের তলায়। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে হঠাৎ বাড়ির দরজা খুলে যায়। অজ্ঞাত দুই মোটরসাইকেল আরোহী আসে। একজনের মাথায় হেলমেট এবং অন্যজনের মুখে মাস্ক ছিল। ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দু'জনেই উপরের দিকে দৌড়ে গেল।

    সরবজিতকে হত্যার পুরস্কার পেয়েছেন
    সরফরাজের ভাই জুনায়েদ আরও বলেন, 'দুই হামলাকারীই বাড়ির উপরের অংশে পৌঁছে তাম্বাকে ৩টি গুলি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওপরের তলায় গিয়ে দেখি ভাই রক্তে ভিজে পড়ে আছে। আমির সরফরাজ তাম্বাকেও সরবজিৎ সিংয়ের হত্যার পরে সম্মানিত করা হয়েছিল। বলা আছে তাঁকে 'লাহোরের ডন' বলা হত।

    কয়েক মাস ধরে খাবারের সঙ্গে মিশ্রিত কিছু দেওয়া হয়েছিল
    পাকিস্তানের কোট লাখপত জেলে থাকা ভারতীয় নাগরিক সরবজিৎ ভারতে পাঠানো চিঠিতে লিখেছিলেন, 'গত দুই-তিন মাস ধরে খাবারে কিছু মেশানো হচ্ছে। এটা খেয়ে শরীর গলে যাচ্ছে। আমার বাম হাতে প্রচণ্ড ব্যথা আর ডান পা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। খাবার বিষের মতো। এটি খাওয়া সম্ভব নয়, খাওয়ার পরে হজম করাও সম্ভব নয়।'

    লাহোরের কোট লাখপত জেলের যন্ত্রণা যখন অসহ্য হয়ে উঠেছিল তখন সরবজিৎ চিঠিটা লিখেছিলেন, কিন্তু জেলের আধিকারিকদের আচরণ কসাইয়ের চেয়েও খারাপ। জেলে স্লো পয়জন দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সরবজিৎ লিখেছিলেন।
  • Link to this news (আজ তক)