Lok Sabha Election : সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তবেই রিটায়ার করতে চান ‘হেরো’ হসনুরাম!
এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে! এই সময়ে যে কোনও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানও খানিক নড়বড় করে বসেন! কিন্তু উত্তরপ্রদেশের হসনুরাম আম্বেদকরি অদম্য। ৯৮-এ দাঁড়িয়ে মোটেই নার্ভাস নন হসনু। ঘোষণা করে দিয়েছেন, সেঞ্চুরি করবেন, থামবেন তারপরই। ‘রামতাতে কী! এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তিনি ভোটে লড়াই করবেন বলে মনস্থির করেছেন। ঠিক করেছেন, দু’টি কেন্দ্র থেকে তিনি নমিনেশন জমা করবেন।জীবন সায়াহ্নে এসে জীবনের একটা লক্ষ্য অন্তত পূরণ হবে তাঁর—১০০ বার ভোটের ময়দানে লড়াই করা হয়ে যাবে। তারপর তাঁর ছুটি। এ হেন হসনুরামের খবর প্রকাশ্যে আসায় নেট নাগরিকরা তাঁকে উৎসাহই জুগিয়েছেন। কেউ কেউ ভালোবেসে লিখেছেন, ‘প্রতিষ্ঠিত দলেও এমন অনেক নেতা আছেন, যাঁরা বছর বছর ভোটে দাঁড়িয়ে হেরেছেন। তবু তাঁরা প্রতিবার নিয়ম করে যখন ভোটে দাঁড়াতে পারেন, আপনিও দাঁড়ান। মিরাকল তো হতেই পারে!’
হসনুরাম প্রথমবার ভোটে লড়াই করেন ১৯৮৫ সালে। আদতে একশো দিনের কাজের শ্রমিক হসনুরাম জীবনে প্রথমবার মায়াবতীর বিএসপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জেলার খেরাগড় তেহসিলের বাসিন্দা হসনুর কথায়, ‘১৯৮৫ সাল থেকে আমি গ্রাম প্রধান, রাজ্য বিধানসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত, এমএলএ, এমপি সব ভোটে লড়াই করেছি।’
তাঁর সংযোজন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও লড়াই করব বলে নমিনেশন পাঠিয়েছিলাম।’ কিন্তু দুঃখের কথা, তাঁর সেই নমিনেশন বাতিল হয়ে যায়। হসনুরাম কোনও দল করেন না। একটি দলিত শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত তিনি। তবু তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বছর বছর মনোনয়ন জমা করে আসছেন।
তাঁর ভোটে লড়াই করার পিছনেও আছে একটা গল্প। হসনুরামের দাবি, তিনি ১৯৮৪ সালে যে কাজ করতেন, তা ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। সে সময়ে বিএসপি তাঁকে প্রমিস করেছিল খেরাগড় থেকে বিধানসভায় টিকিট দেবে। টিকিট তিনি পাননি। কেন? হসনুরামের কথায়, ‘সে সময়ে বিএসপির এক নেতা আমাকে উপহাস করে বলেছিলেন, আমাকে নাকি আমার বউই ভোট দেবে না, লোকে তো দূর অস্ত...।’
ব্যাস, জেদ চেপে যায় হস্নুরামের। তিনি প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে পড়েন, বউ কেন, আরও বহু মানুষই তাঁকে ভোট দেবেন। সেই প্রমাণ করার তাগিদেই ৯৮ পেরিয়ে সেঞ্চুরির পথে হসনুরাম। এবার ঠিক করেছেন, আগ্রা এবং ফতেপুর সিকরি থেকে তিনি নমিনেশন জমা করবেন। আজ, সোমবার নমিনেশন জমা করার পর তিনি যাবেন তাঁর ভোটারদের সঙ্গে দেখা করতে। ৭০ বছর বয়সী হসনুরামের স্ত্রী শিবা দেবী, তাঁদের পাঁচ ছেলে ও পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিরা তাঁকে প্রতিবার প্রতিটি ভোটে প্রচারে সহযোগিতা করেন। এবারও করবেন। হসনুর দাবি, সেঞ্চুরি হয়ে গেলে আর তিনি ভোটে লড়বেন না।