• Narendra Modi: 'ভোটে জিততে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জুটি', কংগ্রেসকে নিশানা মোদীর
    এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • নির্বাচনী প্রচার সভায় ফের রাহুল গান্ধীকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেরালায় শাসক দল LDF ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UDF-এর হল 'তথৈবচ'। তাঁর মতে, কেরালা হোক বা বঙ্গ, সব রাজ্যেই বামেদের এক হাল। লেফ্টদের (বামেদের) চরিত্রই হল নাথিং লেফ্ট (কিছুই অবশিষ্ট নেই) এবং নাথিং রাইট (কোনওটাই ঠিক না)। অর্থাৎ যেখানেই লেফ্টদের (বামেদের) শাসন যেখানেই হয় সেখানে বাকি আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সেখানে কোনও কিছুই ঠিক ভাবে ঘটে না। বামেরা বাংলার অবস্থা তথৈবচ করেছে। ত্রিপুরাতেও এক হাল করেছে। আর এখন কেরালারও একই হাল করছে। কেরালার মানুষের উদ্দেশ্যে মোদীর পরামর্শ কেরালার মানুষের LDF ও UDF-কে নিয়ে সতর্ক হওয়ার সময় হয়েছে।'মোদীর কথায়, কেরালায় বাম-কংগ্রেস একে অপরকে শত্রু বললেও দিল্লিতে গলায় গলায় ভাব দুই শিবিরে। তাঁর কথায়, 'কেরালায় কংগ্রেস বামদের শত্রু আখ্য়া দিচ্ছে। আর ওদিকে দিল্লিতে কংগ্রেস এই শত্রুর সঙ্গেই এক আসনে বসে রয়েছে। একসঙ্গে ওঠাবসা-খাওয়া দাওয়া এমনকী নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রেও একসঙ্গে পরিকল্পনাও করছে।'

    পাল্লাকাড়ে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও নাম না করে নিশানা করেন। অমেঠিতে রাহুলের পরাজয়কে নিশানা করে বলেন, 'উত্তর প্রদেশে নিজের পরিবারের ঘাঁটি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেসের যুবরাজ। আর এখন তাই কেরালায় ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি।'

    মোদীর মতে, কংগ্রেস নেতা কেরালার জনগণের থেকে ভোটের আবেদন করলেও তাঁদের চাওয়াপাওয়া নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, 'কংগ্রেস ভোটে জিততে এমন একটি সংস্থার রাজনৈতিক উইংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন যে সংগঠনটি দেশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী নাম না নিলেও দু'দিন আগে অমেঠির বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, কেরলের ওয়ানাডে জিততে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন রাহুল ।

    উল্লেখ্য়, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রবিবার বিজেপি সংকল্প পত্র বা নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন। পরেরদিন সোমবারই কেরালা সফরে এসেছেন মোদী। কেরলের ২০টি লোকসভা আসনের জন্য ২৬ এপ্রিল এক দফায় ভোট হবে।। পাল্লাকাড়ে ভাষণে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদী। বলেন, 'কেরালায় যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নতমানের হয় সেই বিষয় আমরা কাজ করব। এক্সপ্রেসওয়ে এবং হাইওয়ে তৈরির মাধ্যমে যোগাযোগ পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি হাইস্পিড বন্দে ভারত পরিষেবার সুবিধা মিলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)