BJP প্রার্থীর সমর্থনে র্যালি। সেখানে উঠল, 'ভোট ভোট ভোট দিন, জোড়া ফুলে ভোট দিন' স্লোগান। আর এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক শোরগোল। শুরু হয়েছে ট্রোলিংও। কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছেন বীরভূমের BJP প্রার্থী দেবাশিস ধর ও জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। আর এই ঘটনায় মুচকি হাসছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। দোরগোড়ায় যখন লোকসভা নির্বাচন তখন এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।শনিবার ঘড়ির কাঁটায় প্রায় আটটা। হুডখোলা জিপে করে প্রচারে বার হন বীরভূম কেন্দ্রের BJP প্রার্থী তথা প্রাক্তন IPS অফিসার দেবাশিস ধর। ঢাকের বাজনা থেকে শুরু করে ইত্যাদি ইত্যাদি, আয়োজনে কোনও খামতি রাখা হয়নি। এদিন হুডখোলা জিপে সাধারণ মানুষের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে যায় দেবাশিস ধরের প্রচারের জিপ। কর্মীরা নানান স্লোগান দেন। সেই সময় একটি স্লোগান ওঠে- ‘ভোট ভোট ভোট দিন, জোড়া ফুলে ভোট দিন।’
রীতিমতো থতমত খেয়ে যান প্রার্থী। তাঁদের চিৎকার করে থামতে বলা হয়। কিন্তু, সেই সময় মাইকে সেই স্লোগান চেয়ে অনেক দূর পৌঁছেছে। অবাক হন স্থানীয়রা। এদিকে সেই মুহূর্তটিও ফ্রেমবন্দি হয় ভিডিয়োতে। এরপর যত সময় যেতে থাকে ততই গ্রুপে গ্রুপে তা ঘুরতে থাকে। রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এই ঘটনায় একদিকে যখন গেরুয়া শিবির অস্বস্তিতে তখন রীতিমতো হাসি ঠাট্টা করছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে রামপুরহাট বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এই স্লোগানটি যিনি দিয়েছেন তিনি বোধহয় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন। কিন্তু, বিজেপিতে গেলেও তাঁর মন এখনও তৃণমূলে পড়ে রয়েছে। হয়তো তিনি উপর থেকে বিজেপি করছেন। কিন্তু, অন্তরে এখনও তৃণমূল রয়েছেন। তাই এই স্লোগান দিয়েছেন।'
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে BJP প্রার্থী দেবাশিস ধর বলেন, ' এমনটা হওয়ার কথা নয়। তবে যদি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমি বিষয়টি দেখছি। যদি তাঁর অন্তরে তৃণমূল থাকে তাহলে তিনি বিজেপিতে আসবেন কেন? যদিও একটি দল থেকে অন্য দলে গেলে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। আমার ক্ষেত্রেও চাকরি ছেড়ে রাজনৈতিক জীবনে মানিয়ে নিতে একটু সময় লেগেছে।'
সবমিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের সামনে এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। কটাক্ষের সুর রাজ্যের শাসক দলের কণ্ঠে। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র তৃণমূলের প্রার্থী শতাব্দী রায়।