‘তিন মাসেই বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ BJP নেত্রীর ভাষণে বিতর্ক! কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন বিজেপি নেত্রী। কোচবিহারের একটি জনসভা থেকে বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রীকে এই কথা বলতে শোনা যায় বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তাঁর বক্তব্যের ভিডিয়ো শেয়ার করে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির নারী-বিরোধী মানসিকতার আরেকটি উদাহরণে, সোমবার কোচবিহারের দিনহাটায় এলওপি শুভেন্দু অধিকারীর সভা চলাকালীন, বিজেপি মহিলা মোর্চা নেতা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বন্ধ করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এই ফ্ল্যাগশিপ স্কিমটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি উদ্যোগ যা রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিজেপির এই নারী-বিরোধী মানসিকতার কারণে তাঁদের নিজেদের নেত্রী সভা চলাকালীন এটিকে বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন এবং এটিকে ভিক্ষার সমতুল্য হিসেবে পরিবেশিত করছেন।
ভিডিয়োটিতে বলতে শোনা যায়, ‘আগামী ৩ মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আমরা ভিক্ষা চাই না, আমরা স্বনির্ভর হতে চাই। এই লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসন নিয়ে বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরে এই সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে পতন হবে।’ বিজেপি নেত্রীর এই বক্তব্য নিয়েও তীব্র বিরোধিতা জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
'ভিভিপ্যাডের চিপ কে তৈরি করেছে?' রিগিংয়ের আশঙ্কা মমতার
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ সাহায্য বাড়িয়ে দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করা তো দূরের কথা, এই প্রকল্পে রাজ্যের মহিলাদের ৩০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে, তাঁর এই প্রচারের পর বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার কথা কী করে বলেন? তাই নিয়েই খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। সম্প্রতি, রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। তফসিলি শ্রেণির মহিলাদের সাহায্য বাড়িয়ে ১২০০ করা হয়েছে। মহিলা ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে। সেক্ষেত্রে বিজেপির পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কি এর প্রভাব পড়বে? সেটা ভবিষ্যতই বলবে।