নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপাতত তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর গ্রেপ্তারিকে ‘অবৈধ’ বলে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর প্রধান। আজ, সোমবার শীর্ষ কোর্টে সেই মামলার শুনানি। কেজরির অনুপস্থিতিতে কি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে সখ্য বজায় রাখার কাজটি করছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং? রবিবার একাধিক বিরোধী নেতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ উস্কে দিল সেই জল্পনাই।আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সঞ্জয়ও। সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন তিনি। রবিবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে তাঁর দিল্লির বাড়িতে দেখা করেন সঞ্জয়। পরে ছবি পোস্ট করে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে রক্ষা করতে আমাদের লড়াই একসঙ্গে।’ রবিবার ডেরেকের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গেও দীর্ঘ বৈঠক করেন সঞ্জয়।
আপ সাংসদের দাবি, ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের ‘কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম’ নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমন ইস্তেহার, উন্নয়ন নিয়েও কথা হয়েছে বলে দাবি। খাড়গের সঙ্গে বৈঠকের পর সঞ্জয় বলেন, ‘উনি সংসদে আমাদের উৎসাহিত করেন। উনি বিরোধী দলনেতা। তাই জেল থেকে মুক্তির পরবর্তী লড়াইয়ের জন্য তাঁর আশীর্বাদ নিতে এসেছি। দেশের গণতন্ত্র, সংবিধানের কণ্ঠরোধ কী ভাবে করা হচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কী ভাবে বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকার, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বেসিক রাইটও দেওয়া হচ্ছে না!’
প্রসঙ্গত, শনিবারই সঞ্জয় সিং অভিযোগ তুলেছিলেন— তিহাড় জেলে কেজরিওয়ালকে তাঁর পরিজনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না। একটি অন্ধকার কুঠুরির ছোট জানলার ওপার থেকে বহুকষ্টে স্ত্রী সুনীতা এবং পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন কেজরি। এদিন দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব অবশ্য দাবি করেন, আইনজীবী ছাড়া আর কারও সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করতে পারেন না বন্দিরা— ২০১৮ সালে আপ সরকারই জেলের ম্যানুয়াল বদল করে এটা চালু করেছে। সচদেবের প্রশ্ন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলে এখন বিশেষ সুবিধা চাইছেন কেজরিওয়াল?’