IndiGo: মাত্র ১-২ মিনিট ওড়ার মতো জ্বালানি, ঝুঁকির অবতরণ! ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে অভিযোগ যাত্রীর
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
ফের বিমান বিভ্রাট সংক্রান্ত অভিযোগে অস্বস্তিতে বিমান সংস্থা ইন্ডিয়ো। অভিযোগ, সংস্থার গাফিলতিতে যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। প্রাণ বাঁচবেন কিনা তাই নিশ্চিত ছিল না। বিমানের মধ্য়েই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তখন জ্বালানি শেষ হতে মাত্র ১ থেকে ২ মিনিট। তবে সেই অবস্থাতেই কোনও মতে বিমান অবতরণ করে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন যাত্রী। তবে ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না।অভিযোগ, দিল্লিগামী এক ইন্ডিগোর বিমানে ঘটেছে ঘটনাটি। বিমানের এক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'যাত্রার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা' ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে। আর এরপরেই যাত্রী পরিষেবা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে ইন্ডিগো। জানা যায়, দিল্লিগামী ওই বিমানটিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় চণ্ডীগড়ের দিকে। অভিযোগ, একপ্রকার যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চণ্ডীগড়ে বিমানটি অবতরণ করে। অভিযোগ, তখন মাত্র বিমানে অবশিষ্ট ছিল ১-২ মিনিট চলার মতো জ্বালানি।অযোধ্য়া থেকে দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ৬E ২৭০২ ইন্ডিগো বিমানটি। তবে দিল্লিতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় চণ্ডীগড়ের দিকে। ১৩ এপ্রিল বিকেল ৩টে ২৫ মিনিটে ইন্ডিগো বিমানটি অযোধ্যা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়। বিকেল সাড়ে চারটেয় বিমানটি অবতরণের কথা ছিল দিল্লিতে। কিন্তু অবতরণের ১৫ মিনিট আগে ৪টে ১৫ মিনিট নাগদ পাইলট ঘোষণা করেন, দিল্লিতে খারাপ আবহাওয়ার জন্য দিল্লিতে অবতরণ সম্ভব হচ্ছে। দিল্লির আকাশে দুইবার চক্কর কেটে অবতরণের চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয় তা। বিমান চালক আরও ঘোষণা করেন, উড়ানে ৪৫ মিনিট ওড়ার মতো জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। এর ৭৫ মিনিট পরেই বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে পাইলট চূড়ান্ত ঘোষণা করেন, বিমানটি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চণ্ডীগড়ের দিকে। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ চণ্ডীগড়ে বিমানটি অবতরণ করে।
দেখুন সতীশ কুমারের টুইট
ওই ইন্ডিগো বিমানটির যাত্রী ছিলেন DCP ক্রাইম সতীশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, '৪৫ মিনিট বিমান ওড়ানোর মতো অবশিষ্ট জ্বালানি রয়েছে এই ঘোষণার ১১৫ মিনিট পর শেষ পর্যন্ত বিমানটি অবতরণ করাতে সক্ষম হন বিমান চালক। অবতরণের পর তাঁরা ক্রু সদস্যদের থেকে জানতে পারেন, একেবারে শেষ মুহূর্তে অবতরণ করেছেন তাঁরা। একটুর সময়ের হেরফের হলেই বড় বিপদ হতে পারত। বিমানে তখন অবশিষ্ট ছিল মাত্র ১-২ মিনিট চলার মতো জ্বালানি। ঘটনায় DGCA ও অসামিরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সতীশ। ভাগ্যের জোরে বেঁচে যাওয়া অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে তাঁর অভিযোগ, যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করে সময় নষ্ট করেছে বিমান সংস্থা। তাঁর দাবি, যদি কয়েক সেকেন্ডও এদিক থেকে ওদিক হত, তবে যাত্রীদের নিয়ে ভেঙে পড়তে পারত বিমানটি। এই ঘটনায় DGCA-এর কাছে যাত্রীরা তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।
এক অবসরপ্রাপ্ত পাইলটও এই ঘটনাকে উল্লেখ করেছেন নিরাপত্তার চূড়ান্ত লঙ্ঘন হিসেবে। তিনি ঘটনার DGCA তদন্তের দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এক্ষেত্রে সম্ভবত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল বা SOP মানা হয়নি।
অবসরপ্রাপ্ত পাইলট শক্তি লুম্বার টুইট
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। তাদের তরফে পাল্টা বলা হয়েছে, ওড়ার সম্পূর্ণ সময় পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত ছিল বিমানে। পাশাপাশি পাইলটের সমস্ত পদক্ষেপ এসওপিগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল বলে সাফাই বিমান সংস্থার।