‘বাজার থেকে কিনবেন?’ বিজেপির ৪০০ আসন জয় ‘অসম্ভব’, ব্যাখ্যা শত্রুঘ্নর
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
ময়দানে নেমেই চওড়া ব্যাটে খেলা শুরু করলেন আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপির ‘৪০০ পার’ স্লোগান নিয়ে সরাসরি আক্রমণ বলিউড সুপার স্টারের। গতবার উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন তিনি। বিজেপির পুরনো সৈনিক সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারেও দেখা গেল সেই আত্মবিশ্বাস।‘আব কি বার ৪০০ পার’ স্লোগান নিয়ে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় বিঁধলেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী উদ্ধত ও হতাশগ্রস্ত হয়ে গিয়েছেন। কোথা থেকে পাবেন ৪০০ আসন?’ সোমবার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার একটি জনসভার মঞ্চে বিজেপি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপির এই টার্গেট নিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহার কটাক্ষ, ‘আব কি বার ৪০০ পার কী করে করবেন? বাজার থেকে কিনবেন কী? যে প্রতিবার কেনে ওইরকম কিনবে।’
বিজেপি ৪০০ আসনের টার্গেট নিয়েছে গোটা দেশ থেকে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিজেপি একা অন্ততপক্ষে ৩৭০টি আসন পাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। তবে, সেই আসন লাভ হবে কী ভাবে? চর্চায় গোটা দেশ। এর আগে নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে বিজেপির এই টার্গেট নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এবার শত্রুঘ্ন সিনহা বোঝালেন, এই টার্গেট পূরণ করতে গেলে বিধায়ক কেনাবেচা করতে হবে।
শত্রুঘ্ন সিনহার হাত ধরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ১৫০ জন
পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর- ফরিদপুর ব্লকের গৌরবাজার এলাকায় বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয় এদিন। প্রার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখার্জি, দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সভাপতি শতদ্বীপ ঘটক, জেলা পরিষদের উপাধক্কা চুমকি মুখোপাধ্যায় সহ দুর্গাপুর উপলক্ষে সকল নেতৃত্ব।
আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিয়ে উৎকণ্ঠা ছিল দীর্ঘদিন ধরে। প্রথম তালিকায় বিজেপি এই কেন্দ্রে ভোজপুরী গায়ক পবন সিংয়ের নাম ঘোষণা করলেও তিনি নিজে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। কিছুদিন আগেই এই কেন্দ্রের ‘ভূমিপুত্র’ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করা হয় বিজেপির তরফে। পবন সিং নাম তুলে নেওয়ার পর থেকে নির্বাচনী প্রচারে সেরকমভাবে দেখা যায়নি শত্রুঘ্ন সিনহাকে। চলতি সপ্তাহ থেকে ফের জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। দুই বরিষ্ঠ রাজনীতিকের লড়াই দেখবে এবার আসানসোলের মানুষ। শেষ হাসি কে হাসবেন, সেই উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।