প্রকাশ চিকের সঙ্গে মনোজের টক্কর, আলিপুরদুয়ারে শেষ হাসি কার মুখে?
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা, তারপরেই দেশে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। সেই সঙ্গেই প্রথম দফার নির্বাচন বাংলাতেও। প্রথম দফায় রাজ্যের যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট হবে তার মধ্যে অন্যতম আলিপুরদুয়ার। ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে ওই কেন্দ্রের লড়াই। প্রচার শুরু করে দিয়েছে সবপক্ষই। এমনকী প্রচারের ময়দানে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন প্রকাশ চিক বরাইক। পাশাপাশি বিজেপির টিকিটে লড়াইয়ের ময়দানে মনোজ টিগ্গা। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য গতবারে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে জয়ী সাংসদ জন বার্লাকে অবশ্য এবারে টিকিট দেয় বিজেপি। পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয়েছে টিগ্গাকে। তিনি আবার মাদারিহাট কেন্দ্রে জয়ী বিজেপির বিধায়ক। এলাকার দাপুটে নেতা হিসেবেপরিচিত সেই মনোজকেই এবার লোকসভা ভোটের লড়াইতে নামিয়েছে বিজেপি। এছাড়াও এই কেন্দ্রে যারা লড়াই করছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য আরএসপি প্রার্থী মিলি ওরাও।
গত লোকসভা ও বিধানসভায় বিজেপির বিপুল জয়গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন জন বার্লা। মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দশরখ তিরকে পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৬ হাজার ৮১৫ ভোট। সেবারেও আরএসপি-র হয়ে ভোটে লড়েছিলেন মিলি ওরাও। তাঁর ঝুলিতে এসেছিল ৫৪ হাজার ১০ ভোট। অন্যদিকে কংগ্রেসের মোহনলাল বসুমাতা ভোট পেয়েছিলেন ২৭ বাজার ৪২৭টি। পরবর্তীতে বিধানসভা ২০২১ সালের বিধানসবা নির্বাচনেও বিজেপিতে দু'হাত তুলে আশীর্বাদ দেন আলিপুরদুয়ারের মানুষ। ওই লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা যথাক্রমে তুফানগঞ্জ, কুমারগ্রাম, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাট, মাদারিহাট ও নাগরাকাটা, প্রতিটিতেই জয়ী হয় গেরুয়া শিবির। পরে অবশ্য আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুমন কাঞ্চিলাল তৃণমূলের যোগদান করেন।
দলীয় প্রার্থীর প্রশংসায় মমতাএদিকে ওই কেন্দ্রে প্রকাশচিক বরাইককে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। প্রকাশ চিকের হয়ে প্রচারে গিয়ে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, প্রকাশচিককে তিনি রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রকাশচিক বরাইক সরাসরি মানুষের কাজে যুক্ত থাকতে চেয়ে নিজেই লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। প্রকাশচিককে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান মমতা।
সাম্প্রতিক ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিএদিকে সম্প্রতি ভয়াবহ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিপুরদুয়ারের একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চল। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী ঝড়ে যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি পুননির্মাণকে ঘিরে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে রাজ্যরাজনীতিতে। কমিশন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার অনুমতি দেয়নি বলে দাবি করে তৃণমূল। পালটা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির জন্য় টাকা দেওয়ার অনুমতি ইতিমধ্য়েই দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে আসন্ন নির্বাচনে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে এই বিষয়টি অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।