• ‌৩৭০, রামমন্দির নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী, সমালোচনা বিরোধীদের...
    আজকাল | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য,‌ নয়াদিল্লি:‌ সংবাদসংস্থায় সাক্ষাৎকারে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি, রামমন্দির, তিন তালাক অবলুপ্তি নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি বিরোধীদের তোলা দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির স্বশাসন খর্ব করার অভিযোগ খণ্ডন করলেন তিনি। বিরোধী তথা ইন্ডিয়া জোটের তরফে বারবার সমানস্তরের ময়দান তৈরির দাবি করা হয়েছে। ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, ইডির করা ৯৭ শতাংশ মামলাই রাজনীতির গণ্ডির বাইরের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। ইডির প্রশংসায় তিনি বলেন, ‘‌ইডি ভাল কাজ করছে। একটি আইনও আমাদের সরকার তৈরি করেনি। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করেছে আমার সরকার।’‌ তাঁর অভিযোগ, নির্দিষ্ট একটি পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের আগে নির্বাচন কমিশনার পদে বসানো হত এবং পরে তাঁদের রাজ্যসভার সদস্যপদ দেওয়া হত। নিজেদের ব্যর্থতা আগাম উপলব্ধি করতে পেরেই বিরোধীরা সমান স্তরের ময়দান না থাকার অভিযোগ করছে। সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী বন্ডকে সমর্থন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর দাবি, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কালো টাকা থেকে মুক্ত করার জন্যই নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্প বাতিল হয়ে যাওয়ার ফলে সবাইকে পস্তাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‌এর ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কালো টাকার আমদানি বাড়বে।’‌ তিনি আরও বলেন, ‘‌নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। সেই কারণে ইভিএমের দোষ দেওয়া হয়। আসলে হারের অজুহাত তারা এখন থেকেই তৈরি করে নিচ্ছে।’‌ রাম মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের অনুষ্ঠান বয়কট করা নিয়ে বিরোধীদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, ‘‌বিরোধীদের কাছে রাম মন্দির একটি রাজনৈতিক অস্ত্র। এবার রাম মন্দির তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে সেই অস্ত্রটি বিরোধীদের হাতে থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।’‌ এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘‌এক দেশ এক নির্বাচন আমাদের প্রতিশ্রুতি। সংসদেও আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা কমিটি তৈরি করেছি এবং কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এক দেশ এক নির্বাচনকে অনেকেই সমর্থন করেছেন। রিপোর্টের সুপারিশ কার্যকর করতে পারলে অনেক ভাল হবে।’‌ এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রী ধরা পড়ে গিয়েছেন বলেই সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় তোলাবাজি চক্র এবং তার মাষ্টারমাইন্ড প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী ব্যাখা দিন যে, সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই টাকা পাওয়ার পরেই তদন্ত বন্ধ হয়ে গেল কেন? পরিকাঠামো থেকে শুরু করে সমস্ত বড় বরাত পাওয়ার ক্ষেত্রে সেই সংস্থা টাকা দিয়েছে।’‌ তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেছেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাঁর সরকার নির্বাচন কমিশনের সংস্কার চায়। যদি সেটাই চান, তাহলে কেন সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে হাতিয়ার করে নির্বাচন কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হল? প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা আপত্তি জানানোয় তাঁকে সরানো হয়েছিল। আসলে মোদি সরকার কমিশনকে নিজেদের হাতের তালুতে আনতে চায়। সেই কারণেই প্রধান বিচাপতিকে সরানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে।’‌ 
  • Link to this news (আজকাল)