• ডিএ-র জন্য অপেক্ষা না কি মে মাস থেকেই? জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
    আজ তক | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • রাজ্য সরকারের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল মে মাস থেকেই বর্ধিত হারে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ২০২৪ সালের মে থেকেই বর্ধিত হাতে বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পাবে, ঘোষণা করেছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই মতো ফের একবার ডিএ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    সোমবার কোচবিহারে সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মে মাস   থেকে সরকারি কর্মীরা আরও চার শতাংশ ডিএ পাবেন। সুতরাং ১৪ শতাংশ হারে আগামী মাস থেকে ডিএ ঢুকবে সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে। 

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিধানসভা বাজেটে ডিএ বৃদ্ধি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিধানসভায় মূল যে নথি দেখে বাজেট ঘোষণা করছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাতে ডিএ বৃদ্ধির উল্লেখ ছিল না। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে একটি চিরকূট দেন। সেই চিরকূট চন্দ্রিমার হাতে দেন অরূপ। তারপরই ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। 

    তারপর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আরও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছিলেন সরকারি কর্মীরা। তারপর মে মাস থেকে বর্ধিত হারে ডিএ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। তা নিয়ে গত মার্চে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে রাজ্য সরকার। 

    উল্পেখ্য পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তুলে ধরেছিলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি লড়বেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। অমৃতা রায়কে মোদী বলেন,পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্রদের কাছ থেকে লুট করা হয়েছে। অমৃতা রায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আপনি প্রার্থী হয়েছেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। নিশ্চয় তাঁদের মধ্যে উৎসাহ -উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছেন।' তখনই অমৃতা রায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের সরকারি কর্মী ও সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'আমাকে অনেকে বলছেন যে, তাঁরা ডিএ পাচ্ছেন না। অনেকে স্কুলে ভর্তির সমস্যার কথা বলেছেন। অনেকে ঘর পাননি।'
  • Link to this news (আজ তক)