জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এরই মধ্যে প্রবল গরম শুরু হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত এরকমই আবহাওয়া থাকবে বাংলায়। তবে এই গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা ও লোডশেডিং। গত বছর পালাপালা করে বিদ্যুত্ সরবারহ করতে হয়েছিল গোটা দেশে। কথা হচ্ছে বাংলাকে নিয়ে নয়, বাংলাদেশকে নিয়ে।
ইদ ও নববর্ষের জন্য টানা ৬ দিন ছুটি থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা সীমা অতিক্রম করেনি। চাহিদা কম থাকায় উৎপাদনও কম করতে হয়েছে। তারপরও দেশের গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হয়েছে বলে জানা গেছে। গরম বাড়তে থাকায় এবং চলতি সপ্তাহে কলকারখানা ও অফিস আদালত খোলার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে।বিশেষ করে আগামী সপ্তাহে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারলে লোডশেডিং বাড়বে। ইদের আগের সপ্তাতে ২ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হয়। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।সোমবার অফিস খোলার দিনের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা ধরা হয় ১৪ হাজার মেগাওয়াট আর উৎপাদন ধরা হয় ১৫ হাজার ৫৪৩ মেগাওয়াট। দুপুর ১২টায় ডে পিক টাইমে চাহিদা ছিলো ১২হাজার ৩শ মেগাওয়াট আর উৎপাদিত হয়েছে ১২ হাজার ১১ মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিলো ২৭৫ মেগাওয়াট।অপরদিকে ৫ এপ্রিল সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন সরবরাহ করা হয় ১১ হাজার ৮৮১ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ সরবরাহর করা হয় রাত ৯ টায় ১৩ হাজার ৫৭২ মেগাওয়াট। এ দিন রাত ১২ টায় সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয় ১৯৮২ মেগাওয়াট। অফিস আদালত খুললেও এখনো ইদের আমেজ কাটেনি। তাই গরম বাড়লেও কলকারখানা চালু না হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সীমা ছাড়ায়নি। চলতি সপ্তাহে না হলেও আগামী সপ্তাহে সব চালু হলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে যাবে। এই চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং বাড়বে। চাহিদা সামাল দিতে না পারলে গত বছরের চেয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী রোজই তাপমাত্রা বাড়ার নতুন নতুন রেকর্ড করছে তাপমাত্রা। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় সোমাবার সর্বোচ্চ ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সারাদেশে গড়ে তাপমাত্রা ছিলো প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।