• মেয়ে হারানোর যন্ত্রণার মাঝেই হাসি ফুটল, ফের বাবা হচ্ছেন সারেগামাপা বিজয়ী কাবো
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ২০২৩ সালের ৪ঠা জুলাই আকাশ ভেঙে পড়েছিল গায়ক অ্যারবার্ট কাবো ও তাঁর পরিবারের মাথায়। ৮ মাসের কন্যা সন্তান এভিলিনকে হারিয়েছিলেন জি বাংলা সারেগামাপা খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। সন্তানের মৃত্যু শোক বুকে চেপেই জি টিভির সারেগামাপা-র মঞ্চে পৌঁছেছিলেন তিনি, সবসময় বরের হাত শক্ত করে ধরেছিলেন পূজা। বছর ঘুরতেই হাসি ফুটল দম্পতির মুখে। ফের পূজার কোল আলো করে আসছে সন্তান। অন্তঃসত্ত্বা অ্যালবার্ট কাবোর স্ত্রী। সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে সুখবর ভাগ করে নিলেন তারকা। পূজার বেবি বাম্প আগলে ছবি দিলেন কাবো। নিজের স্ফীতোদর হাত দিয়ে রয়েছেন পূজা, প্রেমে-আবেগে ডগমগ দুজনে। পরস্পরের উপর থেকে চোখ সরছে না তাঁদের। হবু মা-র পরনে তুঁতে রঙের মেটারনিটি গাউন। কাবো পরেছেন সাদার উপর আকাশি প্রিন্টেট শার্ট আর ক্রিম রঙা প্যান্ট। পূজার মুখের মাতৃত্বের জেল্লা ফেটে পড়ছে। 

    এই মিষ্টি ছবির ক্যাপশনে কাবো লেখেন, ‘এই বার তিনি সবকিছু সুন্দর করে তুললেন… সকলকে ধন্যবাদ প্রার্থনা আর আর্শীবাদের জন্য। আমাদের খুদে শীঘ্রই আসছে’। 

    ছবি স্পষ্ট বলছে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন পূজা। খুব শিগগির ভূমিষ্ঠ হবে সন্তান। হবু বাবা-মা'কে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনুরাগীরা। নতুন বছরের সেরা খবর, বলছেন তাঁরা। 

    জি বাংলা সারেগামাপা-র মঞ্চে ছোট্ট মেয়ে কোলে হাজির হয়েছিলেন কাবো-পত্নী। পরে জানা যায়,জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিল এভিলিন। হার্টের সমস্য়া ছিল তাঁর। কলকাতার এক নামী হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। কালিম্পং-এর টুরিস্ট গাইড থেকে জি বাংলা সারেগামাপা ২০২২-এর রানার্স আপ হন কাবো। 

    আট মাসের শিশুকন্যার মৃত্যুশোক বুকে চেপে মায়ানগরীতে নতুন সফর শুরু করেছিলেন। জি টিভি সারেগামাপা ২০২৩-এর ট্রফি জিতে বাংলা তথা বাঙালিকে গর্ব করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন কালিংম্পং-এর এই ভূমিপুত্র। গত ৪ জুলাই মেয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়ে অ্যালবার্ট লিখেছিলেন, ‘গল্পটা শেষ হলেও যাত্রাটা নয়। তুমি আমাদের জীবনের সবচেয়ে মিষ্টি গানটা গেয়েছো। আমাদের ধ্রুবতারা হয়ে থেকো তুমি। আর আমাদের পথ দেখিও। ওখানে ভালো থেকো। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি এভিলিন লেপচা।’ 

    জিটিভি সারেগামাপা-র ট্রফি জয়ের পর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে কাবো বলেছিলেন মেয়ের মৃত্যুর পর গান গাওয়াই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই ঘুরে দাঁড়ানো। বলেছিলেন, ‘মেয়ের ট্রিটমেন্টের জন্য অনেক শো করেছিলাম। কিন্তু ওই থাকল না… (খানিক নিস্তব্ধতা) আমার তো মনই ছিল না আর গান-বাজনায়। ছেড়ে দিয়েছিলাম সব। আমাকে পূজা বলল, তোমাকে জিটিভি সারেগামাপা-তে যেতে হবে। আমি রাজি হইনি। বলেছিলাম, পারব না, আমার ইচ্ছে নেই। গানে মনযোগই দিতে পারছি না। কিন্তু ও জোর দিয়ে বলে তোমাকে আমাদের মেয়ের জন্য যেতে হবে। তাই আর না করতে পারিনি’।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)