এমনটা নয় যে, ইনিংসে ছক্কার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। বরং ব্যাট হাতে যিনিই ক্রিজে এসেছেন, ছক্কার ফুলঝুরি ফুটিয়েছেন চিন্নাস্বামীতে। সোমবার আরসিবির বিরুদ্ধে সামরাইজার্স হায়দরাবাদের পাঁচজন ব্যাটসম্যান যথেচ্ছ চার-ছক্কা মারেন। সানরাইজার্স ইনিংসে মোট ২২টি ছক্কা দেখা যায়। তবে তার মধ্যে এনরিখ ক্লাসেনের মারা একটি ছয় নজর কেড়ে নেয় আলাদা করে।
আসলে লকি ফার্গুসনের বলে মারা ক্লাসেনের সেই ছক্কায় বল চলে যায় স্টেডিয়ামের বাইরে। চিন্নাস্বামীতে আইপিএল ২০২৪-এর ৩০তম লিগ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ইনিংসের ১৬.২ ওভারে ফার্গুসনের ফুল-লেনথ ডেলিভারিকে জোরালো শটে স্টেডিয়ামের ছাদের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে বার করে দেন ক্লাসেন। ১০৬ মিটারের সেই ছক্কাটি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিননন্দন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চিন্নাস্বামীতে আরসিবির বিরুদ্ধে ক্লাসেনের মারা এই ছক্কাটি চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ছক্কার যুগ্ম রেকর্ড। আরসিবির বিরুদ্ধেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের নিকোলাস পুরান একটি ১০৬ মিটারের ছক্কা হাঁকান। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেই কেকেআরের বেঙ্কটেশ আইয়ার একটি ১০৬ মিটারের ছয় মারেন। এবারের আইপিএলে সব থেকে বড় ছক্কা মারার রেকর্ড রয়েছে দীনেশ কার্তিকের নামে। তিনি হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এই ম্যাচেই ১০৮ মিটারের বিরাট একটি ছক্কা মারেন।
ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে হায়দরাবাদ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ১৭ মরশুমের ইতিহাসে এটিই সব থেকে বেশি রানের দলগত ইনিংস। তারা ভেঙে দেয় নিজেদের গড়া পুরনো রেকর্ড। সানরাইজার্স চলতি মরশুমেই ঘরের মাঠ উপ্পলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে। এতদিন সেটি ছিল আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস। এবার নিজেদের সেই রেকর্ডকে নতুন উচ্চতা দেয় হায়দরাবাদ।
আরসিবির বিরুদ্ধে এই ইনিংসে মোট ২২টি ছক্কা মারেন সানরাইজার্সের ব্যাটাররা। আইপিএলের একটি ইনিংসে সব থেকে বেশি ছক্কা মারার নতুন রেকর্ড এটি। ক্লাসেন ঝোড়া হাফ-সেঞ্চুরির পথে ৭টি ছক্কা মারেন। ট্র্যাভিস হেড ধ্বংসাত্মক শতরানের পথে ৮টি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া আবদুল সামাদ ৩টি এবং অভিষেক শর্মা ও এডেন মার্করাম ২টি করে ছক্কা মারেন।
আরসিবির বিরুদ্ধে ট্র্যাভিস হেড ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৯টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৯ বলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে এটি আইপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম শতরান। সার্বিকভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে এটি চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।
ট্র্যাভিস হেড শেষমেশ ৪১ বলে ১০২ রান করে আউট হন। এনরিখ ক্লাসেন ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ২টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৬৭ রান করে মাঠ ছাড়েন।