• Mohun Bagan: হাবাসের 'মিডাস টাচ'এ লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ট্রফি নিয়ে দিমিত্রিদের ভিকট্রি ল্যাপ...
    আজকাল | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • মোহনবাগান - ২ (লিস্টন, কামিন্স)মুম্বই সিটি - ১ (চাংতে)সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: মোহনবাগানের মুকুটে আরও একটি পালক। আইএসএল জয়ের পর লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন। সোমবার যুবভারতীতে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারাল সবুজ মেরুন। বাগানের হয়ে গোল করেন লিস্টন‌‌ কোলাসো এবং জেসন কামিন্স। দুটো গোল‌ই দুর্দান্ত। ২২ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বই সিটিকে টপকে লিগের একনম্বর মোহনবাগান। প্রথম লিগ শিল্ড জয় কলকাতার ক্লাবের। আন্তোনিও হাবাসের ট্রফির হ্যাটট্রিক। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, এটিকের হয়ে আইএসএল জিতেছিলেন। এবার বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। মোহনবাগানকে লিগ শিল্ড দিলেন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র গ্রুপ পর্বে খেলার ছাড়পত্র জোগাড় করে নিল সবুজ মেরুন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নবম সাক্ষাতে জয়। এর আগে ছ"বার হার, দু"বার ড্র ছিল। মোক্ষম সময় আইল্যান্ডারদের বিরুদ্ধে জয়ের খাতা খুলল বাগান। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজা মাত্র মাঠে আবেগের ফোয়ারা। নিজেদের মধ্যে সেলিব্রেশনের পর গ্যালারির দিকে ছুটে যান দিমিত্রি, কামিন্সরা।‌ বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মাতেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। ৬১ হাজারের গ্যালারি উত্তাল। দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে কনফেটি‌, রঙিন ধোঁয়ায় মায়াবী চেহারা নিল যুবভারতী। চলতি বছর জয়জয়কার বাংলার ফুটবলের। ডুরান্ড কাপ এবং আইএসএলের লিগ শিল্ড মোহনবাগানের। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। আই লিগ মহমেডানের।‌ হাবাসের মিডাস টাচে বদলে গেল মোহনবাগান। বছর শেষে হারের হ্যাটট্রিকের পর জুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে হাবাসকে ফিরিয়ে আনা হয়। আস্থার মান রাখলেন বর্ষীয়ান কোচ। তাঁর জমানায় চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র একটি ম্যাচ হারে বাগান। তবে সেই ম্যাচে বেঞ্চে ছিলেন না তিনি। লিগ শিল্ড জয়ীদের শুভেচ্ছা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আগের দিনের দলে একটা পরিবর্তন হয়। অমনদীপের জায়গায় প্রথম একাদশে ফেরেন লিস্টন কোলাসো। ফরমেশনে কোনও বদল নেই। তবে এদিন সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয় বেঞ্চে। তিন ম্যাচ পরে ডাগআউটে ফেরেন আন্তোনিও হাবাস। তাতেই মনোবল দ্বিগুণ বাড়ে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। ম্যাচের শুরুতে দু"দলই একে অপরকে মেপে খেলে। প্রথম কোয়ার্টারে বল মূলত মাঝমাঠেই ঘোরাফেরা করে। বাগানের প্রথম সুযোগ ২০ মিনিটে। অনিরুদ্ধ থাপার পাস থেকে লিস্টনের হেড পোস্টে লাগে। ক্রসপিস বা পোস্টে লাগা মানেই অশনি সংকেত। কিন্তু এদিন অবশ্য এই ময়দানি মিথ কার্যকরী হয়নি। তার আট মিনিটের মধ্যেই জয়সূচক গোল লিস্টন‌ কোলাসোর।‌ অভিষেকের পা থেকে বল পান পেত্রাতোস। দিমিত্রির পাস থেকে দু"জনকে কাটিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে দুরন্ত গোল লিস্টনের। ম্যাচের মাহেদ্রক্ষণ। তার এক মিনিট আগেই মুম্বইয়ের নিশ্চিত গোল বাঁচান বিশাল কাইত। নোগুয়েরার শট বাঁচানোর পর পেরেরা দিয়াজের ফিরতি শটও রোখেন বাগান কিপার। ৪০ মিনিটের মাথায় আবার গোলের সুযোগ পায় মুম্বই। আবার পরিত্রাতার ভূমিকায় বিশাল। এবার ব্যান নিফের শট বাঁচান। বিরতির ঠিক আগে গোলের নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন চাংতে। ৪৫ মিনিটে পেরেরা দিয়াজের পাস থেকে সামনে একা বাগান কিপারকে পেয়েও বাইরে মারেন। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরে মুম্বই। একটা সময় পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল হাবাসের দল। বিরতির পর গোলটা ছাড়া একটাও পজিটিভ সুযোগ নেই সবুজ মেরুনের। বরং ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারত মুম্বই। তবে কাজের কাজটা করেন জেসন কামিন্স। ম্যাচের ৮০ মিনিটে লিগ শিল্ড নিশ্চিত করেন পরিবর্ত ফুটবলার। দিমিত্রির একটা লং বল বাঁ পায়ে রিসিভ করেন কামিন্স। তারপর ডান পায়ের শটে নিখুঁত প্লেসিং। দুর্দান্ত গোল বিশ্বকাপারের। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে বাগান রক্ষণকে চাপে ফেলে দেন চাংতে। অন্তিমলগ্ন ঘটানাবহুল। ৯০+১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পরিবর্ত ফুটবলার হ্যামিল। শেষদিকে দু"দলের ফুটবলাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাতে স্কোরলাইনে প্রভাব পড়েনি। গ্যালারিতে বসে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখলেন লাখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুল।  ছবি: অভিষেক চক্রবর্তী
  • Link to this news (আজকাল)