ইনস্টায় 'মহিলা' সেজে নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেলিং! ৪ বছরের কারাবাস, ৬ লক্ষ জরিমানা...
২৪ ঘন্টা | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: আসলে পুরুষ, কিন্তু সেজেছিলেন মহিলা! সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল কই! নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেইল করতে গিয়ে পাকড়াও যুবক। দোষীকে ৪ বছরের কারাদন্ড দিল আদালত। সঙ্গে ৬ লক্ষ টাকা জরিমানাও।
এক্স হ্য়ান্ডেল পোস্টে কলকাতা পুলিস জানিয়েছে, মেয়েটি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি,কালিম্পংয়ে। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ২০২২ সালে মেয়েটির আলাপ হয় এক মহিলার সঙ্গে। মহিলার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল জানাচ্ছিল, তিনি সুইডেনের নাগরিক। নাবালিকার সঙ্গে এই মহিলার আলাপ ক্রমে গভীর হয়। নিজের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ওই মহিলার সঙ্গে শেয়ার করে নাবালিকা। কিছুদিন পরে হঠাৎই ওই মহিলা জানান, তিনি আদৌ মহিলা নন।.তিনি আসলে পুরুষ। তাঁর সুইডেননিবাসী এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তিনি কিছুদিন ধরে ব্যবহার করছেন বান্ধবীর থেকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড নিয়ে। নাবালিকা মেয়েটি তো সব শুনে আকাশ থেকে পড়ল। তারপর? ওই অ্য়াকাউন্ট থেকে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং! হুমকি দেওয়া হয়, টাকা না দিলে ব্য়াক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হবে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এমনকী, ইনস্টাগ্রামে অ্য়াকাউন্টটি ব্লক করে দিয়েও রেহাই মিলছিল না। একাধিক আইডি থেকে চলছিল ব্ল্যাকমেলিং। শেষে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর তৎপর হয় কলকাতা পুলিস। স্রেফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট, পকসো-সহ একাধিক ধারা মামলায় রুজু করাই নয়, অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করে ফেলেন কালিম্পং সাইবার থানার আইসি রাজকুমার মালাকার। নাম, অশ্বিনী চতুর্বেদি। ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার বাসিন্দা সে। ছত্তীসগঢ় থেকে অশ্বিনী গ্রেফতার করে আনেন রাজকুমার এবং তাঁর সহকর্মীরা। দ্রুত জমা পড়ে চার্জশিটও।