প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে রবিবার সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছে BJP। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সংকল্প পত্রে রয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কথা। তবে NRC ইস্যু নিয়ে কিছু উল্লেখ নেই। দেশের একাধিক রাজ্য থেকে AFSPA তুলে নেওয়ার বিষয় নিয়েও কোনও প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়নি।২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় BJP তাদের সংকল্প পত্রে অসমে NRC প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার কথা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারপর থেকে যদিও সরকার এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। CAA-NRC বিরোধিতায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে।
CAA নিয়ে সরব, NRC নিয়ে নিশ্চুপ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে NRC নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি BJP। তবে এই ইস্তেহারে পাকিস্তান, আগানিস্তান এবং বাংলাদেশের সেই ছয় সংখ্যালঘু ধর্মের নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যারা ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছিলেন। CAA যখন কার্যকর ঘোষণা করা হয়, তারপর থেকে বিরোধীরা লাগাতার এটিকে NRC-র সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, CAA আদতে NRC-র প্রথম পদক্ষেপ। মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কাগজ দেখানোর জন্য চাপ দেওয়া হবে বলেও নানামহলে দাবি করা হয়। যদিও কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বারবার স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, CAA এবং NRC-র মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। CAA-এর আওতায় মুসলিম কেন কোনও নাগরিকেরই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। NRC তৈরি নিয়ে সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে CAA। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তৈরি হতে দেশে চার বছরেরও বেশি সময় লেগেছে।
AFSPA নিয়ে কী উল্লেখ BJP-র সংকল্প পত্রে?অন্যদিকে, ২০১৯ সালে BJP-র সংকল্প পত্রে AFSPA তুলে নেওয়ার কোনও প্রতিশ্রুতি ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যই বলছে এই আইনের অন্তর্ভূক্ত এলাকাগুলিতে আগের তুলনায় ৭১ শতাংশ হিংসার ঘটনা কমেছে। অশান্ত ঘোষিত এলাকার সংখ্যাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। বর্তমানে অসমের আটটি জেলায় AFSPA জারি রয়েছে। মণিপুরের সাতটি জেলার ১৯টি থানা এলাকায় থেকে AFSPA সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাগাল্যান্ডের আটটি জেলার ১৮টি থানা এলাকাতেও এই আইন তুলে নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের মে মাসে ত্রিপুরা এবং ২০১৮ সালের মার্চ মাসে মেঘালয় থেকে AFSPA তুলে নেওয়া হয়।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ অধিনিয়ম ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে দেশে। পার্টি প্রশিক্ষণ, অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্স, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ল কলেজের পাঠক্রমে এই আইনগুলি সম্পর্কে শিক্ষাদান করা হবে বলে ২০২৪-এর সংকল্প পত্রে উল্লেখ করেছে BJP।