Eid al-Adha: ভারতে কবে বখরি ইদ? কেন পালিত হয় এই উৎসব?
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
খুশির ইদ সদ্য পার হয়েছে। এবার আসতে চলেছে বখরি ইদ। এবার প্রকাশ্যে এল সম্ভাব্য তারিখ। চলতি বছর সৌদি আরবে কুরবানির ইদ (বখরি ইদ/ ইদ-উল-আজহা) ১৬ জুন উদযাপিত হতে পারে। দেশের চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে এই তথ্য।সৌদি আরবের চাঁদ কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ জিলহজ্জ ইদ-উল-আজহা হতে পারে। সৌদি আরবে পবিত্র ইদ-উল-ফিতর পালিত হয় ১০ এপ্রিল। ইদ-উল-ফিতর দুই মাস দশ দিন পরে ইদ-উল-আজহা বা কোরবানির ইদ কিংবা বখরি ইদ পালিত হয়। সাধারণত ভারত, বাংলাদেশে সৌদি আরবের পরের দিন পালন করা হয় কোরবানির ইদ। সেই হিসাব অনুযায়ী আগামী জুন মাসের ১৭ তারিখ ভারত, বাংলাদেশে কুরবানির ইদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে। ইসলামি চিন্তাবিদরা জানিয়েছেন, ইদ-উল-ফিতর বা রমজানের ইদের মোটামুটি ৭০ দিন পর পালিত হয় কুরবানির ইদ। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ইদের দিন নির্ধারিত হয়। আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১৬ অথবা ১৭ জুন পালিত হবে ইদ-উল-আজহা
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দুই ধরনের ইদ পালনের রীতি হয়েছে। রমজানের পর ইদ-উল-ফিতর পালন করা হয়। জিলহজ্জ মাসে হজের সময় পালন করা হয় ইদ-উল-আজহা (প্রকান্তরে ইদুজ্জোহা)। দিনটিকে বখরি ইদ বা কুরবানি ইদও বলা হয়। আরবি 'কুরবান' থেকে এসেছে এই নাম। ফারসি ভাষায় এর অর্থ 'নৈকট্য'। পরম করুণাময়ের কাছাকাছি যাওয়ার জন্যই কুরবানি শব্দের ব্যবহার হয়েছে কোরানে।
এই দিন পশুকে কুরবানি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। যদি কোরানে কুরবানি সম্পর্কে বলা হয়েছে- 'মাংস বা রক্ত কোনওটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছয় না। আল্লাহর কাছে পৌঁছয় সকলের মনের পবিত্র ইচ্ছা। এই নিয়ম পরম শক্তিমানের কাছে আনুগত্য় ও মহান ত্যাগের প্রতীকী স্বরূপ।
ইতিহাস
হিজরি ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ ও শেষ মাসের দশম দিনে পালিত হয় ইদ-আল-আজহা। জানা যায়, হজরত ইব্রাহিম, আল্লার স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী নিজের ছেলেকে আল্লার কাছে কুরবানি বা উৎসর্গ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় আল্লা তাঁকে দেখা দিয়ে একটি ভেড়া তাঁর হাতে তুলে দেন। তিনি বলেন ছেলের বদলে সেই ভেড়াটিকে কুরবানি হিসেবে উৎসর্গ করতে। এরপর থেকেই এই উৎসবের কিছুদিন আগে থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ভেড়া, ছাগল, উট কিনে তাকে যত্ন করে পালন করেন এবং বকরি ইদের দিনে আল্লার নামে উৎসর্গ করেন।
উৎসব উদযাপন
কুরবানির থেকে তৈরি হওয়া খাবার সমান ভাগে বিতরণ করা হয় তিনটি সমান ভাগে। একটি অংশ খায় পরিবারের সদস্যরা। দ্বিতীয়টি রাখা হয় আত্মীয়দের জন্য। তৃতীয় অংশটি রাখা হয় দরিদ্র ও অভাবীদের জন্য। মুসলিমরা বিশ্বাস করে, যদিও মাংস বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছয় না। আল্লাহর কাছে পৌঁছয় তাঁদের ভক্তি।