ওডিশা বাস দুর্ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিহত ৪, মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
নববর্ষের শুরুতেই মর্মান্তিক ঘটনা ওডিশায়। ওডিশায় ফ্লাইওভার থেকে বাস পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় পাঁচ ব্যক্তির। আহত হন একাধিক। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে বেশ কিছু বাসিন্দা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, মৃতরা হলেন ভুপতিনগর থানার উড়উড়ি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মাইতি, এগরা থানার দুবদার বাসিন্দা অচিন্ত মাইতি, চণ্ডিপুরের মলয় ঘোষ এবং নন্দীগ্রামের খোডামবাড়ির বর্ণালি দাস বেরা।জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির নাম কালিয়াননা। হলদিয়া পুরী রুটের বাস ছিল সেটি। নন্দকুমার থেকে গতকাল সন্ধ্যাবেলা বাসটি ছাড়ে। এরপর বাসটি পুরী থেকে যাত্রী নিয়ে নন্দকুমারে ফিরে আসছিল। যাত্রীরা নন্দকুমার এলাকার বলে জানা গেলেও নাম ঠিকানা এখন পাওয়া যায়নি। মৃতদের দেহ জেলায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার আচমকাই ওডিশার জজপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। বারাবতী ব্রিজের উপর থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি নীচে পড়ে যায়। এরপরেই একাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হয় একাধিক।
ওড়িশার জাজপুরের বারাবাটিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি আসলে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে ফিরছিল। চিকিৎসা সহ অন্যান্য প্রয়োজনে ওড়িশায় যাওয়া যাত্রীরা এই বাসে করে পূর্ব মেদিনীপুরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। বাসটির শেষ গন্তব্য ছিল নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ড। মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাসটি যাত্রী নিয়ে নন্দকুমারে আসার কথা ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিনই বিপুল পরিমানে বাস ওড়িশায় যায়। কটক, পুরী, ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্যই যাত্রীরা এই বাসগুলিতে যাতায়াত করেন। এই বাসটিও দীর্ঘদিন ধরেই নন্দকুমার থেকে ওড়িশা এবং সেখান থেকে পুনরায় নন্দকুমারে ফিরে আসে। ইতিমধ্যে ওড়িশা সরকার আহত সমস্ত রোগীদের চিকিৎসার সমস্ত রকম দায়িত্ব বহন করছে বলে জানানো হয়েছে। আহতদের প্রথমে ধর্মশালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর গুরুতর জখম ৩৫ জনকে কটকের শতাব্দী প্রাচীন এসসিবি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আহতদের সমস্ত রকমের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে ওড়িশা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতদেহগুলি দ্রুত ময়না তদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরজন্য পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি এ রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।