• 'নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ', ওডিশায় বাস দুর্ঘটনার পর ঘোষণা মমতার
    এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ওডিশা থেকে বাংলায় আসার পথে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৪ জন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা বলে জানা দিয়েছে। এরই মাঝে এই দুর্ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী নিময় মেনে মৃতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'গত রাতে ওড়িশার জাজপুর জেলায় একটি মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রীর মৃত্যু ও আহত হওয়ার খবর জানতে পেরে দুঃখিত। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন প্রথম থেকেই উদ্ধার ও সহায়তার কাজে রয়েছে। বাসটি আমাদের রাজ্যের ছিল এবং আমাদের কয়েকজন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছেন। উদ্ধারকার্যে সহায়তার জন্য রাজ্য ঘটনাস্থলে আধিকারিক, বিভিন্ন উপকরণ, অ্যাম্বুল্যান্স ইত্যাদি পাঠাচ্ছে। উদ্ধার করা যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে যানবাহনও পাঠান হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বেড সংরক্ষিত করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মৃতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। রাজ্য প্রশাসন, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আধিকারিকরা উদ্ধারকার্যে সম্পূর্ণভাবে জড়িত। পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ও বোনদের প্রতি আমার সমবেদনা।'

    প্রসঙ্গত, পুরী থেকে জনা পঞ্চাশেক যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল বাসটি। আচমকাই ওডিশার জাজপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীবাহী ওই বাসটি। বারাবতী ব্রিজের উপর থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি সরাসরি নীচে পড়ে যায়। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জাজপুর পুলিশ। পাশাপাশি পৌঁছয় উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা এবং দমকল বাহিনী। গ্যাস কাটার দিয়ে বাসের বাইরের দেওয়াল কেটে ভিতরে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নিকটবর্তী ধর্মশালার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরে অবস্থান অবনতি হওয়ায় ৩৫ জনকে কটকের শতাব্দী প্রাচীন এসসিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

    সূত্রের খবর, আহতরা অনেকেই জানিয়েছেন, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছিল বাসটি। সেই সময়ই জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। আর তার জেরেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। যাঁরা ওই দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। জানা গিয়েছে, অনেকেই পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন। আবার অনেকে চিকিৎসার প্রয়োজনেও গিয়েছিলেন প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশায়। কিন্তু ফেরার পথে যে এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হবে তা স্বপ্নেও তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি।
  • Link to this news (এই সময়)