• Ramdev Supreme Court: 'আপনি এতও সরল নন!' জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে রাজি হয়েও সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে রামদেব
    এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে রাজি বলে জানালেন যোগগুরু রামদেব ও তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। তবে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেও শীর্ষ আদালতের তিরস্কারের মুখে পড়েন তাঁরা। বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বাবা রামদেবের পাশাপাশি সরকারেও কড়া সমালোচনা করেছিল।সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি চলাকালীন রামদেব বলেন, 'কোনোভাবেই আদালতের প্রতি অসম্মান দেখানোর কোনও উদ্দেশ্য আমার নেই।' আত্মপক্ষ সমর্থনে রামদেবের যুক্তি, তাঁর সংস্থা আয়ুর্বেদকে বিজ্ঞানভিত্তিক ওষুধের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।

    মঙ্গলবার বিচার চলকালীন সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে পড়েন রামদেব। বিচারপতি হিমা কোহলি তাঁকে বলেন, 'আপনি কী ভাবে দাবি করেছিলেন যে রোগ সারে না তা আয়ুর্বেদের মাধ্য়মে নিরাময় হবে? এই ধরনের কোনও প্রতিশ্রুতি জনসাধারণকে দেওয়া যাবে না একথা জানার পরেও কী ভাবে আপনি অন্যান্য মেডিসিন সিস্টেমকে অপমান করলেন? আইন সকলের জন্য সমান।'

    উত্তরে রামদেবের পালটা সাফাই, এধরনের কোনও উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। বরং তাঁর দাবি, তাঁর সংস্থা ৫০০০টিরও বেশি প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেছে। রামদেবের মনোভাবের তিরস্কারের করে আদালত বলে, 'আপনার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছিল কারণ আপনি আমাদের আদেশ অমান্য করেছেন।'

    তবে শীর্ষ আদালত অবশ্য গোটা বিষয়টির জন্য ফার্মের গাফিলতির কথা স্বীকার করেছে। যোগ ব্যায়ামে রামদেবের অবদানের জন্য সামান্য প্রশংসা করেও তাঁকে ভর্ৎসনা করতে ছাড়েনি আদলত। আদালত বলে, 'আপনি যোগব্যায়ামের জন্য অনেক কিছু করেছেন। যোগ-ব্যায়ামের গুরুত্বকে বোঝানোর জন্য অনেক ভালো কাজও করেছেন। আপনি নিজের ব্য়বসাও শুরু করেছেন। '

    আচার্য বালকৃষ্ণ আদালতে বলেন, 'না জেনেই এই ভুল হয়েছে আমাদের তরফে।' একথা উত্তরে পালটা বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বলেন, 'আপনারা অ্যালোপ্যাথির দিকে আঙুল তুলতে পারেন না।' এরপর রামদেব বলেন, 'আমরা আবেগের বশেই এমনটা দাবি করেছিলাম। আগামী দিনে সতর্ক থাকব। অ্যালোপ্যাথি সম্পর্কে কিছু বলব না।'

    তবে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে স্বীকার করলেও বরফ গলেনি। তাঁর ক্ষমার বিষয়টি এখনই গ্রাহ্য করতে রাজি নয় আদালত, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ জানায়, রামদেব ক্ষমা চাইলেও, তাঁরা সেটিকে গ্রহণ করবেন কি না, তা ভেবে দেখছে। এই প্রসঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, 'আপনার পুরনো ইতিহাস খারাপ। আপনার ক্ষমাপ্রার্থনা আমরা গ্রহণ করব কি না, তা ভেবে দেখব।' মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত রামদেবের কৌঁসুলির উদ্দেশে বলেন, 'উনি মোটেও এত সরল নন।' রামদেবের সংস্থার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে যোগগুরুর 'দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের'-ও সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ এপ্রিল।
  • Link to this news (এই সময়)