সিনে-সংলাপ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুখে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিরওয়াল। মঙ্গলবার জেল থেকেই বার্তা পাঠালেন কেজরিওয়াল। তাঁর সেই বার্তা যেন 'মাই নেম ইজ খান' সিনেমার ডুপ্লিকেট।জেলবন্দি কেজরির বার্তা, 'মাই নেম অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আই অ্যাম নট আ টেররিস্ট' (আমার নাম অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আমি জঙ্গি নই)। গতকাল তিহাড় জেলে আপ সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। আর তারপরই অরবিন্দ এই বার্তা প্রকাশ্যে আসে।
আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের কথায়, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল যিনি দেশের মানুষ তথা দিল্লিবাসীর জন্য একজন ছেলে, একজন ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন সর্বদা তিনি জেল থেকে বার্তা পাঠিয়েছেন বলেছেন, মাই নেম ইজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল অ্যান্ড আই অ্যাম নট আ টেররিস্ট।' তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে সাক্ষাৎ করতে একটা খুপড়ি জানার মাধ্যমে। এর থেকেই স্পষ্ট অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতি কতটা ঘৃণ্য ভাব পোষণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তিহাড় জেলেই সাক্ষাৎ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। আপ সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সঞ্জয়ের মতো একই সুরে কেন্দ্রের শাসক দলকে নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, জেলে কেজরির সঙ্গে কট্টর অপরাধীদের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী তাঁরা যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পায়, তাও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। এটা খুবই দুঃখের। কেজরিওয়ালের অপরাধ কোথায়, প্রশ্ন তোলেন মান। তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে যেন, দেশের বিরাট কোনও জঙ্গিকে ধরেছে ওরা। প্রধানমন্ত্রী মোদী কী চান! কেজরিওয়াল কাজের বিষয়ে অত্যন্ত সৎ বলে ব্যাখ্যা করেন এই আপ নেতা।
দেখুন সঞ্জয় সিংয়ের প্রেস কনফারেন্স
উল্লেখ্য়, সোমবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট আপ সুপ্রিমোর জেল হেফাজতের মেয়াদ ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আদালতের সওয়াল-জবাবে অংশ নেন। দিল্লি আবগারি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরূপ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়াল।অন্যদিকে, আবগারি মামলায় ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, এমন দাবি করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন আপ প্রধান। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে কেজরির আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।