Odisha Jajpur Bus Accident : বাড়ল মৃত্যু, আইসিইউতে আশঙ্কাজনক একাধিক! চালকের গাফিলতিতেই ওডিশায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
পুরী থেকে কলকাতামুখী ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওডিশার জজপুরের বাস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলেই মারা যান দু'জন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে বাংলার বাসিন্দা চারজন। ৪০ জনেরও বেশি যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। তার মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে, ঠিক কী কারণে এই বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তা নিয়েও প্রকাশ্যে এসেছে প্রাথমিক রিপোর্ট।দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃত্যু, আশঙ্কাজনক বহুওডিশা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ১০ জন যাত্রী আইসিইউতে ভর্তি। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক। আরও মৃত্যু বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহিলা এবং শিশু সহ পুরী থেকে কলকাতাগামী বাসটিতে মোট ৫৫ জন যাত্রী ছিল।
ঘটনার পর জজপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে বারাবতী সেতুর নীচে পৌঁছয় পুলিশের টিম। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলের টিম এসে পৌঁছয়। গ্যাস কাটার দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি কেটে এক এক করে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। ১৬টি অ্যাম্বুল্যান্সে আহতদের হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা করানো হয়। ৪০ জন আহতকে জজপুরের ধর্মশালার নিকটবর্তী কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনজনের মৃত্য হয়েছে বলে খবর। পরবর্তীতে চিকিৎসা চলাকালীন আরও দুই যাত্রী মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। ১০ জনেরও বেশি যাত্রীকে কটকের SCB মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ?চালকের গাফিলতির কারণেই ওডিশার জজপুরে এই বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহণ এবং সড়ক নিরাপত্তার অতিরিক্ত কমিশনার লালমোহন শেঠি। তিনি বলেন, 'বাসটির অবস্থা ভালো ছিল। রক্ষণাবেক্ষণ করা হত। ২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট রয়েছে। মার্চ মাসেই ইস্যু করা হয়েছিল ফিটনেস সার্টিফিকেট। দ্রুত গতিতে বাসটি চলছিল। সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। অথবা অন্য কোনও গাড়িতে ওভারটেক করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। ড্রাইভারের কোনও ফোন কল এসে থাকলে, সে ক্ষেত্রেও অমনযোগী হয়ে থাকতে পারেন তিনি। এখনও পর্যন্ত সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে এগুলির মধ্যে কোনও একটি ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।' তাঁর সংযোজন, 'প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পর ব্রেক কষেননি চালক। ব্রেকে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। ফলে সেতু থেকে সোজা হুড়মুড়িয়ে নীচে পড়ে যায় বাসটি।' চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হবে বলেও জানিয়েছেন এই প্রশাসনিক আধিকারিক।